২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রবৃদ্ধি ৭ ছাড়াতো যদি বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাযজ্ঞ না থাকতো

বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা-সন্ত্রাস-ধ্বংসযজ্ঞ না থাকলে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যেত বলে মন্তব্য করেছেন সরকার ও বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরা। তারা বলেছেন, খালেদা জিয়া লাশের স্তুপের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে ভোগ-বিলাস ও সম্পদের পাহাড় গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেশের জনগণ সতর্ক থাকায় তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।

জাতীয় সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনা বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। এই আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা এসব কথা বলেন।

প্রথমে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও পরে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে চলা সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফ, হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার ও পঞ্চানন বিশ্বাস এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী।

সংসদ অধিবেশন আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় আবার বসবে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক আলী আশরাফ প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘জনবান্ধব ও কল্যাণকর’ উল্লেখ করে বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে দেশকে দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। আর শেখ হাসিনা দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করে সবদিক থেকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাচ্ছে। খালেদা জিয়ার একমাত্র সফলতাই হচ্ছে দুর্নীতি আর মানুষ খুন। যা এখনও তিনি করে যাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন সারা পৃথিবীতে মন্দা অবস্থা বিরাজ করছিল। এর আগে বিএনপি-জামায়াত যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন তারা বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে শীর্ষ অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলো। সেই অবস্থা থেকে দেশকে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে।’

আলী আশরাফ আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার কথা বলেছিলেন। এ সরকার সেই পথ ধরেই এগিয়ে চলেছেন। দেশ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। এটাই প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিফলন ঘটেছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় কৃষক সার চাইতে গেলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বিদ্যুত চাইতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। এটাই ছিল খালেদা জিয়ার চরিত্র। তিনি মানুষকে কিছুই দিতে পারেননি, শুধু মানুষকে হত্যা করেছেন। তারা এখনও সেটা অব্যাহত রেখেছে। পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে।’

হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত যদি নাশকতা-ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড না চালাত, দেশকে পিছিয়ে দেয়ার অপতৎপরতা না চালাত- তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ অতিক্রম করতো। ক্ষমতায় থাকতে ভারত বিরোধিতা, বাইরে থাকলে ভারতের তোষণ- এটাই হচ্ছে বিএনপির হিপোক্রেসি রাজনীতি।’

তিনি বলেন, ‘এখনও তাদের ঘাড় থেকে দ্বি-জাতিতত্বের ভূত নামেনি। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় যেতে চান শুধুমাত্র ভোগ-বিলাস, দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়তে, দেশের মানুষের জন্য নয়।’

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা সত্যিকার অর্থেই একটি যুগসন্ধিক্ষণ অতিক্রম করছে। সত্যিকার অর্থেই আমরা এখন জাতীয় জীবনে উন্নয়নশীল দেশ হতে মধ্যম আয়ের দেশে বিশাল উত্তরণ ঘটাতে যাচ্ছে। এখন শুধু সামনের দিকে চলা। দেশবাসীর মতো আমারও প্রত্যাশা, মহাজোট সরকার রচনা করবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাজনৈতিক মুক্তি থেকে অর্থনৈতিক মুক্তির সোপান।’

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ