প্রথমবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাচ্ছেন সৌদি আরবের মহিলারা। বৃহস্পতিবার প্রথম সে দেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে ভোটের তালিকায় নাম তুলেছেন প্রায় ৪৮ শতাংশ মহিলা। ভোটাধিকার পাওয়াকে দীর্ঘ অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের ফল হিসাবেই দেখছেন সে দেশের মহিলারা। সৌদি প্রশাসন তরফে মহিলা ভোটারদের স্বাগত জানিয়ে বলা হয়েছে, “প্রতিনিধিত্বমূলক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে মহিলা ভোটাধিকার এক বড় ঘটনা।” ডিসেম্বরে সৌদি আরবে পুরসভা নির্বাচন হতে চলেছে। সেই সময়ও মহিলা ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আশা করেছে সৌদি প্রশাসন। শুধু তাই নয়, এই ভোটে লড়তে ২১ জন মহিলা প্রার্থী হিসাবে এর মধ্যেই নিজেদের নাম পেশ করেছেন।
সৌদি গেজেট নামের এক সংবাদপত্রের মতে, জামাল আল-সাদি এবং সাফিনাজ আবু আল সাফাদ নামের দুই মহিলা প্রথমবারের জন্য সৌদি আরবে ভোটার হিসাবে নিজেদের নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। মক্কা এবং মদিনায় রবিবার ওই দুজন নাম তুলেছেন। সাফিনাজ বলেন, “ভোটার তালিকায় নাম তোলার সময়সীমা ছিল ২১ দিন। তবে আমি প্রথম ভোটার হিসাবে নাম তুলতে চেয়েছিলাম। তাই সকালে সবার আগে নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়েছিলাম।” সাফিনাজের মন্তব্য, “ভোটে অংশ নেওয়া দেশের মহিলাদের কর্তব্য। আগামীদিনে আমাদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে এটা একটা বড় পদক্ষেপ।”
২০১১ সালে প্রথম সৌদি আরবের রাজার তরফ থেকে মহিলাদের ভোটাধিকার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। সৌদি আরবের রাজনীতি ও সমাজে মেয়েদের চূড়ান্ত বৈষম্য নিয়ে অনলাইনে নিন্দার ঝড় ওঠায় সৌদি রাজপরিবারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সময় সৌদি আরবের রাজা আবদুল্লা বলেছিলেন, “শরিয়তের মতে যদি বাধা না থাকে, তাহলে কোনও ভাবেই মহিলাদের আমরা সমাজে কোণঠাসা করে রাখতে পারি না।”