৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

“প্যারিস হামলার পেছনে তিনটি দল জড়িত, আলাদা আলাদা হামলা চালায় তারা”

প্যারিস হামলার পেছনে তিনটি দল জড়িত ছিল বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের তদন্তকারীরা। তারা আলাদাভাবে হামলা করেছে, বলছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ।

অন্তত একজন হামলাকারীর পরিচয় পেয়েছে ফরাসি পুলিশ। সে প্যারিসেরই একটি শহরতলীর বাসিন্দা, যার বিরুদ্ধে আগেও অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। আরেকজন হামলাকারীর কাছে সিরিয়ার পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। ওমর ইসমাইল মোস্তফা নামের ওই হামলাকারীর স্বজনদের আটক করেছে পুলিশ। তার বাড়িতেও তল্লাশী চালানো হয়েছে। প্রসিকিউটর ফাঁসোয়া মোলিস বলেন, তারা কিভাবে এবং কোন খান থেকে এসেছেন, তাদের কারা অর্থ দিয়েছে, সেগুলো আমরা খুঁজে বের করব।

প্রসিকিউটর বলছেন, ওই হামলায় নিহত সাতজন ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ছিলেন।

এদিকে, শনিবার ভোরে সীমান্ত অতিক্রমের সময় তিনজন ফরাসি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে বেলজিয়াম পুলিশ। প্যারিস হামলার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা আছে কিনা সেটা যাচাই করছে বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষ।

এদের অন্তত একজন শুক্রবার সন্ধ্যায় প্যারিসে ছিলেন বলে বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। হামলার পর প্যারিসে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে

শুক্রবারের ওই হামলায় ১২৯জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫০জন। এই সন্ত্রাসী হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে ইসলামিক স্টেট। , বাটাক্লাঁ কনসার্ট হলের কাছাকাছি বেলজিয়ামের লাইসেন্স প্লেট রয়েছে এমন একটি ভক্সওয়াগন পোলো গাড়ি দেখা যাওয়ার পর অভিযান শুরু করেছে বেলজিয়ামের পুলিশ।

বেলজিয়ামে বসবাসকারী একজন ফরাসি নাগরিক ওই গাড়িটি ভাড়া করেছিলেন। কিন্তু অন্য একটি গাড়িতে করে শনিবার ভোরে সীমান্ত অতিক্রমের সময় তাকে আটক করে বেলজিয়াম পুলিশ। হামলার পর শুক্রবারই ফ্রান্সে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথমবার প্যারিসে কারফিউ জারি করা হয়েছে, বন্ধ করা হয়েছে সীমান্ত। হামলার পর ফ্রান্সে আড়াই হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শহরে সব ধরণের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ অফিস বন্ধ রয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আইফেল টাওয়ার।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ