শিল্প-সংস্কৃতির শহর, সংগীতের শহর, চির তারুণ্যের শহর প্যারিস। কারো কারো কাছে রোমান্টিক শহর প্যারিস। এই শহরের নামের সঙ্গেই মিশে আছে নাচ, গান, সুর, লয়, তাল ও উন্মাদনা। আর সেই প্যারিসে সুরের রংধনু আঁকলেন নগর বাউল জেমস।
প্যারিসের বন নবেল অডিটোরিয়ামে চার অক্টোবর রবিবারের সন্ধেটা ছিল একেবারেই আলাদা একটা দিন। সুরের মায়ায় আবিষ্ট হয়ে ছিলেন হলভর্তি দর্শক। স্থানীয় এক বাংলাদেশি সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত লাইভ কনসার্টটি জেমসের জাদুস্পর্শে হয়ে উঠেছিল প্রবাসীদের মিলনমেলায়। ব্যস্ততম এই শহরে যেন একটু দেশিয় সুর, একটু দেশিয় উন্মাদনা এবং তার থেকে বেশি এক টুকরো বাংলাদেশ হয়ে ওঠে।
নগর বাউল তাঁর সুললিত কণ্ঠে প্রথমেই শুরু করলেন ‘ও বিজলী চলে যেও না’। সঙ্গে সঙ্গে হলভর্তি দর্শকরাও যেন বিরহ ব্যাথায় কাতর হয়ে তাঁর সুরে সুর মেলাতে লাগল। এ এক অসাধারণ দৃশ্য! প্রবাসী দর্শকের মনের অবস্থা বুঝে বাউল একে একে গাইলেন- কোথায় আছে কেমন আছে মা, দুঃখিনী দুঃখ করো না, আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেব, ফুল নেবে না অশ্রু নেবে, লেইছ ফিতা লেইছ, গুরু ঘর বানাইলা কি দিয়া, দুষ্ট ছেলের দল, পদ্ম পাতার জল, বেদের মেয়ে জোছনা সব জনপ্রিয় গান। দর্শকদের মধ্যরাত পর্যন্ত উন্মাদনায় রেখে বাউল শেষ করলেন তাঁর আরেক জনপ্রিয় হিন্দি গান ‘ভিগি ভিগি’ দিয়ে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন ইউরোপের জনপ্রিয় শিল্পী আরিফ রানা। আয়োজক রানা শিকদার, সুভ্রত ভট্টাচার্য শুভ, সানু ভূইয়া, এমদাদুল হক স্বপন, জুয়েলসহ যারা প্রবাসীদের বিনোদন দিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি দর্শকরা। সুরের মূর্ছনায় বিমোহিত দর্শকদের মাতিয়ে পুরো অনুষ্ঠা্নটির উপস্থাপনায় ছিলেন প্যারিসের জনপ্রিয় উপস্থাপক এম মুহিত।