চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় বন্ধ করে রাখা হয়েছিল কার্যক্রম। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে দেশের আমদানি-রপ্তানির প্রধান প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম গতকাল শনিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে । কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, রাত ১০টার পর থেকে বন্দর থেকে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে জেটিতে সব ধরনের কার্যক্রম রাতে বন্ধ থাকলেও আজ রবিবার সকালে পুরোদমে চালু হয়েছে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম জানান, সকালে জোয়ারে ১২টি জাহাজ জেটিতে ভেড়ানোর পর পণ্য ওঠানামার কাজ শুরু হয়েছে। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে শনিবার সকাল ৮টা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। জাহাজ ও নাবিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বন্দর জেটি থেকে ১৯টি জাহাজ গভীর সমুদ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মো. জাফর আলম আরও জানান, ঝড়ের তোড়ে বন্দরের অভ্যন্তরে চার নম্বর গেটের পাশে গাড়ির শেডে একটি গাছ ভেঙে পড়ে।
এ সময় আমদানি করা হুন্দাই ব্র্যান্ডের একটি গাড়ির পেছনের গ্লাস ভেঙে যায়। প্রচণ্ড বাতাসে এনসিটি এলাকায় রাখা পাঁচটি খালি কন্টেইনার পড়ে গেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া ৫, ৬, ৯, ১২ ও ১৩ নম্বর শেডে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। ঝোড়ো বাতাসে বিভিন্ন শেডের টিন উড়ে গেছে। ফলে শেডের ভেতরে থাকা পণ্যগুলো ভিজে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
























