[english_date]

পুতুল দ্বীপের ভৌতিক গল্প!

খাল, ছোট ছোট নালা, সারি সারি গাছ, ঘন জঙ্গল, সাপ, পশু-পাখি ও অন্য বন্যপ্রাণী। দ্বীপ হলে এমনই। কিন্তু এই দ্বীপে গা ছমছমে পরিবেশ। কোথাও কোনও মানুষের চিহ্ন নেই। মেক্সিকোর দক্ষিণে জিওচিমিলকো ক্যানালের পাশের এক দ্বীপের চিত্র এমনই। তবে দ্বীপের বাসিন্দা কয়েশো পুতুল। কোনও বসতি নেই দ্বীপে। সারা দ্বীপ জুড়ে শুধুই পুতুল আর পুতুল। মাথাযুক্ত, মাথা ছাড়া, অর্ধেক শরীর বা পুরো একটি পুতুল ঝুলে রয়েছে গাছের ডালে। দ্বীপ জুড়ে ছোট ছোট যে ঘর রয়েছে সেখানেও রয়েছে এমন পুতুল। একবাক্যেই এটিকে পুতুলের দ্বীপ বলা চলে। তবে এই পুতুল যেমন তেমন নয়, ভয়ঙ্কর। আর এ কারণেই দ্বীপটি হয়ে উঠেছে ভয়ঙ্কর-ভৌতিক পুতুলের দ্বীপ!

রহস্যময় এই দ্বীপটি সম্পর্কে বলা হয়, অর্ধশতাব্দী আগে এই দ্বীপের একটি খালে ডুবে প্রিয় পুতুলসহ মারা যায় ছোট একটি মেয়ে শিশু। এরপর থেকে খালে এসে জমা হতে থাকে শত শত পুতুল। পরবর্তী সময়ে দ্বীপের একমাত্র বাসিন্দা ডন জুলিয়ান তা সংগ্রহ করে দ্বীপবাসী হিসেবে ওই পুতুলগুলিকে ‘আশ্রয়’ দেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত পুতুল সংগ্রহ করে গেছেন তিনি। তার মৃত্যুর আগে ও পরে কোনও মানুষ থাকেনি এই দ্বীপে।

স্থানীয়দের কাছে দ্বীপটি ‘লা আইসলা দে লাস মুনেকাস’ নামে পরিচিত। ইংরেজিতে এই দ্বীপটি পরিচিতি পেয়েছে ‘পুতুলের দ্বীপ’ হিসেবে। স্থানীয় শহর কর্তৃপক্ষ ৯০ দশকে দ্বীপটিকে পরিষ্কার করার কার্যক্রম হাতে নেয়। তখনই সামনে আসে ‘ভৌতিক’ এই পুতুল দ্বীপ।

দ্বীপটিতে কোনও মানুষ না থাকায় এমন উদ্যোগ নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ভূত, প্রেত, জিন, আত্মা কিংবা গা ছমছমে পরিবেশ যারা পছন্দ করেন, এমন পর্যটকদের কাছে ভ্রমণের জন্য আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে দ্বীপটি।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ