১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পুতিনের সঙ্গে ‘খুব দ্রুত’ দেখা করব, বলছেন ট্রাম্প

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ‘খুব দ্রুতই’ দেখা করবেন ডোনাল্ড ট্রাস্প। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট নিজেই জানিয়েছেন এই কথা।

মার্কিন রিপাবলিকান এই নেতা গত বছরের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন এবং আগামী সপ্তাহে এই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার বলেছেন— আগামী সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে “খুব দ্রুত” দেখা করবেন।

অবশ্য পুতিনের সঙ্গে সম্ভাব্য এই বৈঠকের বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও সময়রেখা প্রদান করেননি ট্রাম্প। তবে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলে তা হবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দুই দেশের নেতাদের মধ্যে প্রথম কোনও বৈঠক।

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ অবসানে তার কৌশল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প নিউজম্যাক্সকে বলেন: “ঠিক আছে, এক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি কৌশল রয়েছে এবং সেটি পুতিনের ওপর নির্ভর করছে।”

তিনি আরও বলেন, “এবং আমি জানি তিনিও (পুতিন) দেখা করতে চান এবং আমি খুব তাড়াতাড়ি (তার সঙ্গে) দেখা করতে যাচ্ছি। আমি এই সাক্ষাৎ তাড়াতাড়ি করে ফেলতাম কিন্তু… এর জন্য আপনাকে তো (প্রেসিডেন্ট হিসেবে) দায়িত্ব নিতে হবে। কিছু কাজ করতে হলে আপনাকে সেখানে থাকতে হবে।”

এদিকে মার্কিন কংগ্রেসম্যান মাইক ওয়াল্টজ ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। গত রোববার তিনি বলেন, “আসন্ন দিন এবং সপ্তাহগুলোতে” তিনি ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যে ফোনালাপের আশা করছেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। রুশ সেই আগ্রাসনের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর মাধ্যমে এবং অন্যান্য সহযোগী দেশগুলোর মাধ্যমে ইউক্রেনকে অস্ত্র ও অন্যান্য সহায়তা সরবরাহের কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। প্রায় তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া— চারটি প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।

এই চার প্রদেশের রাশিয়ার দখলে যাওয়া অংশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের এক-পঞ্চমাংশ। অবশ্য যুদ্ধরত এই দুই দেশের কেউই তাদের নিজস্ব ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ না করলেও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হতাহতের সংখ্যা কয়েক লাখ বলে অনুমান করছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার এই আগ্রাসনের ফলে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছেন এবং আরও লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। মূলত ১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর থেকে মস্কো ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের সবচেয়ে বড় ফাটল সৃষ্টি করেছে এই সংঘাত।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ