১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, পাশে দাঁড়াল কানাডা

কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য বানানোর হুমকি দিয়ে আসছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদও জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস পুড়ছে দাবানলে। আগ্রাসী আগুনে জ্বলে পুড়ে ছাড়খার হয়ে গেছে লাখো ঘরবাড়ি ও বিষয়-সম্পত্তি। প্রাণ হারিয়েছেন অনেক মানুষ।

এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিবেশী কানাডা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ঘোষণা দিয়েছেন, ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তার জন্য ৬০ জন দমকলকর্মী পাঠাচ্ছে তার দেশ।

রোববার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ ঘোষণা দেন ট্রুডো।

এদিকে দাবানল পুরো লস অ্যাঞ্জেলেসকে যেন তছনছ করে ফেলেছে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত এক লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ তাদের বাড়ি ঘর ছেড়েছেন এবং দাবানলে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

তবে আগুন, ধোঁয়া ও ধ্বংসাবশেষের মাঝেও অন্য যে প্রসঙ্গটি বারবার উঠে এসেছে—তা হলো উদ্ধার তৎপরতা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি।

দাবানলের ঘটনায় লস অ্যাঞ্জেলেস কর্তৃপক্ষ সতর্কতা জারির পাশাপাশি বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদে যাওয়ার আদেশ জারি করলে বাসিন্দারা দ্রুত সাড়া দেন।

লস অ্যাঞ্জেলেসে গত কয়েক দশক ধরে খরা, এরপর সাম্প্রতিক বছরগুলো ভারী বৃষ্টিপাত, পরে শরৎ ও শীতকালের শুষ্ক পরিস্থিতিতে ফিরে আসা সবই আগুনের জ্বালানি হিসেবে কাজ করেছে।

শক্তিশালী স্যান্টা আনা বাতাস গাছপালাগুলো শুকিয়ে ফেলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে দিয়েছে। স্যান্ট আনা বাতাস হলো শক্তিশালী, শীতল, শুষ্ক, ঝড়ো বাতাস যাকে কখনও কখনও ডেভিল উইন্ডসও বলা হয়। এই উচ্চ-চাপ বায়ু যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলের গ্রেট বেসিন এলাকা যা মূলত নেভাডা, ইউটাহ, আইডাহো ও দক্ষিণ-পূর্ব ওরেগনের উসর মরুভূমি অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয় এবং ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে প্রবাহিত হয়।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ