দীর্ঘদিন পর পুঁজিবাজারে ব্যাংকিং খাতে কিছুটা দর বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনকৃত ৩০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭টির। দাম কমেছে মাত্র ৪টি ব্যাংকের শেয়ারের দাম। আগের দিন সোমবারও ছিল ব্যাংকিং খাতের চাঙ্গাভাব। সে দিনও বাজারে লেনদেনকৃত ব্যাংকের শেয়ারগুলোর মধ্যে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়াদর বৃদ্ধি পায়। এমনকি বাজারে বেশির ভাগ কোম্পানির দাম কমলেও ব্যাংকিং খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়ার প্রভাবে ডিএসইর সার্বিক মূল্য সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী।
এ দিকে, দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে শেয়ারদরে নিম্নমুখী প্রবণতায় ছিল। বেশির ভাগ সময়েই দর কমেছে ব্যাংকিং শেয়ারের। এর কারণ সম্পর্কে বাজারের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বলছেন, গত দুই তিন বছর ধরে ব্যাংকগুলোর ঋণ খেলাপি বৃদ্ধির পাশাপাশি আয় কমে যাওয়ায় ব্যাংকের শেয়ারদর কমতে শুরু করে। কারণ, ব্যাংকের আয় কমে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ দেয়ার প্রবণতাও কমে গেছে।
গত দুই তিন বছর ধরেই ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ কমেছে। এমনকি কিছু ব্যাংককে লভ্যাংশ দিতে হয়েছে সঞ্চিত মুনাফা থেকে।
এ দিকে, ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ দেয়ার প্রবণতা কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও ব্যাংকের শেয়ারের প্রতি আগ্রহ কমেছে। এতে অনেক ব্যাংকের শেয়ার দর ফেসভ্যালুর কাছাকাছি চলে এসেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত বছরের শেষ দিকে ব্যাংকিং খাতের শেয়ারদর কিছুটা বাড়ে। এ সময় ব্যাংকগুলোর ডিসেম্বর ক্লোজিং আসে। এতে কোম্পানিগুলোর আয়ের ওপর ভিত্তি করে শেয়ারদরও বাড়ে। এ জন্যই এখন ব্যাংকিং খাতের শেয়ারদর কিছুটা বেড়েছে। তা ছাড়া ব্যাংকের শেয়ার তুলনামূলকভাবে অনেক নিচে চলে এসেছে। তাই ব্যাংকের শেয়ারের দিকে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কিছুটা বেড়েছে। তবে ব্যাংকের আয় বৃদ্ধির ওপরই নির্ভর করবে শেয়ারের দর।
পোস্টটি যতজন পড়েছেন : 250