লস অ্যাঞ্জেলস: আপনি কি কখনও ফেসবুকের কোনও কর্মীর সঙ্গে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম হেল্পডেস্কের মাধ্যমে কথা বলেছেন? আপনি কি জানেন যে ফেসবুকের একজন কর্মী খুব সহজেই আপনার প্রোফাইল ব্যবহার করতে পারেন?
ঠিক এমনটাই ঘটেছে পাভো সিলজামাকির সঙ্গে। যিনি একটি সংস্থার ডিরেক্টর। লস এঞ্জেলসে এক ফেসবুক কর্মীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জানতে চান, ফেসবুককে কীভাবে আরও বৃহত্তর স্বার্থে ব্যবহার করা যাবে?
আর এখানেই চমক! ফেসবুকের ওই কর্মী পাভোর অজান্তেই ঢুকে পড়েন তাঁর প্রোফাইলে, পাসওয়ার্ড ছাড়াই। এমনকী, পাভো কোনও নোটিফিকেশনও পাননি এই সংক্রান্ত। ওই ফেসবুক কর্মী পাভোর সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য যেমন পোস্ট,ছবি খুব সহজেই ‘অ্যাকসেস’ করতে পারলেন। তারপরেই প্রকাশ্যে আসে যে প্রত্যেক ফেসবুক কর্মীর কাছে সমস্ত প্রোফাইলের জন্য একটি ‘মাস্টার পাসওয়ার্ড’ থাকে। অনেকটা চাবিওয়ালার কাছে যেমন একটি ‘মাস্টার কী’ থাকে, যা দিয়ে সহজেই যেকোনো তালা খোলা যায়, অনেকটা সেরকম। এরপরেই ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে ওঠে পাভো’র পোস্ট- ফেসবুক প্রোফাইলে ঢুকে এভাবে ব্যক্তিগত তথ্য দেখা নিয়ে কী নিয়ম রয়েছে ফেসবুকের?
অনলাইন হেল্পডেস্কের সব কর্মী যদি এভাবে সমস্ত ইউজারের অ্যাকাউন্ট অ্যাকসেস করতে পারেন, তাহলে কী বা করবেন আপনি? আপনার অজান্তেই তো ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। পোশাকি ভাষায় যাকে বলে ‘সিকিউরিটি ব্রিচ’। ফেসবুক সূত্রে অবশ্য খবর, একাংশ কর্মীর হাতেই থাকে এই মাস্টার পাসওয়ার্ড। তাও ইউজারের সম্মতি ছাড়া কারুর প্রোফাইলে ঢুকলে চাকরি হারাতে পারেন ওই কর্মী।
– ওয়েবসাইট