জেলার নান্দাইলে পারিবারিক কলহের জের ধরে শুক্রবার রাতে ছোট ভাই এবং তার তিন ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বড় ভাই ও তার ছেলেরা। নিহতরা হলেন— বিল্লাল হোসেন (৫৫) ও তার ছেলে ফরিদ (৩০), পাভেল (১৮) ও হিমেল (১৬)। পাভেল ও হিমেল স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। হত্যাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নান্দাইল থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। রাতেই নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শুক্রবার সকালে টাকা ধার নিয়ে নান্দাইল উপজেলার বাশাটি গ্রামের লাল মিয়া এবং তার ছোট ভাই বিল্লাল হোসেনের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে রাত সোয়া ১০টার দিকে বিল্লাল হোসেনের পরিবারের ঘুমন্ত সদস্যদের কোপায় বড় ভাই লাল মিয়া এবং তার ছেলে জামাল ও কামাল। এতে ঘরের ভেতরেই মারা যান বিল্লাল হোসেন ও হিমেল। অপর দুই ছেলে ফরিদ ও পাভেল আহত অবস্থায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরও ধাওয়া করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়দের অনেকে এ ঘটনা দেখে ফেলায় দ্রুত পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। গুরুতর আহতাবস্থায় বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী বানেছা খাতুনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নান্দাইল উপজলোর ৪নং চন্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক ভূঁইয়া বলেন, সামান্য টাকা ধার করা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে ঝগড়া ও দিনের বেলায় সংঘর্ষ ঘটে। এর জের ধরে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে তা ছিল চিন্তার বাইরে। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান তিনি। এদিকে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মঈনুল হক। তিনি জানান, টাকা ধার করা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে বিল্লালের বড় ভাই লাল মিয়া এবং তার ছেলে জামাল ও কামাল এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।