ক্রিকেটীয় দুই মোড়ল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের পরবর্তী লড়াইটা এজবাস্টনে। মাঠে নামার আগে দু’দলের জন্যই যা পরিণত হয়েছে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগে। আর আধিপত্য বিস্তারের সে সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়না অজি বা থ্রি লায়নদের কেউই। সিরিজে ১-১ সমতা থাকায়, দু’দলই এ ম্যাচ জিতে লিড নিতে মরিয়া। কার্ডিফে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অস্ট্রেলিয়াকে ১৬৯ রানে হারিয়ে কুকরা জানান দিয়েছিলো, এখনো ফুরিয়ে যাইনি। তবে পরের ম্যাচের চিত্রটা ঠিক উল্টো। লর্ডসে ৪০৫ রানে জিতে সিরিজে সমতা আনার পাশাপাশি চিরায়ত কথার বাণে স্বাগতিকদের বিদ্ধ করলো অজিরা। এরই নাম অ্যাশেজ। প্রতি মুহূর্তে রূপ বদলানোর এক টেস্ট সিরিজ।
তবে শেষ ম্যাচে জয় পাওয়ায় আত্মবিশ্বাসের পাল্লাটা ভারী ক্লার্কদেরই। সেই পালে হাওয়া লাগাচ্ছে স্টিভেন স্মিথের দুর্দান্ত ফর্ম। পাশাপাশি, জনসন-স্টার্কদের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে ভরসা রাখছেন সফরকারীদের কোচ ড্যারেন লেহম্যান। তবে অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্র্যাড হ্যাডিনের বদলে এজবাস্টনে অজিদের উইকেটের পেছনটা সামলানোর দায়িত্ব পাচ্ছেন পিটার নেভিল। কিন্তু, কাগজে কলমে এগিয়ে থাকলেও, সতর্ক অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। মাইকেল ক্লার্ক বলেন, ‘সব ম্যাচেই প্রথম থেকে শুরু করতে হয়। লর্ডসে আমরা ভালো খেলেছি। আশা করি সে ধারাবাহিকতায় এজবাস্টনেও শুরুটা ভালো হবে। হোম কন্ডিশনে ইংল্যান্ড শক্ত প্রতিপক্ষ। তবে আমাদের দলের সবাই জয়ের জন্য মুখিয়ে আছে। ‘
এদিকে, ইংলিশ শিবিরে হতাশার নাম, দলের পেস আক্রমণের তুরুপের তাস জেমস অ্যান্ডারসনের নিষ্প্রভ বোলিং। সাথে আছে অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকের, ব্রিটিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ বার নার্ভাস নাইনটিতে আউট হওয়ার রেকর্ড। তবে বারবার ব্যর্থ হওয়া টপ অর্ডারে এসেছে পরিবর্তন। গ্যারি ব্যালান্সের জায়গায় দলে জায়গা পাবেন জনি বেয়ারস্টো। এ টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ইংলিশরা ভুলে যেতে চান লর্ডসের হতাশা। অ্যালিস্টার কুক জানান, ‘কার্ডিফের সাফল্যের পর লর্ডসে এমন পারফরম্যান্স মেনে নেয়া যায়না। বেশ কিছুদিন ধরে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা আমাদের ভোগাচ্ছে। তবে, এই টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ আমাদের। তাই অতীতের হতাশা ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়াটাই পেশাদারিত্বের পরিচয় হবে সবার। ‘
পরিসংখ্যান বলে, গেলো ১৭ আসরের ১৫ বারই অ্যাশেজের মুকুট মাথায় তুলেছে, সিরিজের প্রথম টেস্টে জয় পাওয়া দলটি। তবে পরিসংখ্যান নয়, প্রতিটি অ্যাশেজ সিরিজের আছে নিজস্ব ছন্দ। তাই তৃতীয় টেস্ট জিতে সিরিজ জয়ে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে কোন দল, সে প্রশ্নের উত্তর মিলবে মাঠেই।