এখন ট্রান্সজেন্ডার বাবা -মা নতুন কথা নয় | কিন্তু এই ধারার প্রবর্তক কে ? যতদূর জানা যাচ্ছে‚ সেই পথ প্রদর্শক হলেন থমাস বেটি | হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে একজন মেয়ে হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৭৪ সালে | নাম ছিল ট্রেসি | কিন্তু কুড়ি বছর বয়স থেকেই আস্তে আস্তে পুরুষ হওয়ার দিকে এগোন | আজ‚ তিনি তিন সন্তানের জন্মদাতা | পুরুষ হয়ে স্বাভাবিক প্রসবে জন্ম দিয়েছেন এক মেয়ে এবং দুই ছেলের !
হাওয়াইয়ের ট্রেসির পুরুষ হওয়ার ইচ্ছে ছিল | আবার মা হওয়ার সাধও জেগেছিল | চিকিৎসা প্রক্রিয়ার পরে পুরুষ হলেন বটে | তবে দেহে রেখে দিলেন ভ্যাজাইনা‚ ইউটেরাস এবং মহিলাদের অন্য যৌনাঙ্গ | বাদ দিয়েছিলেন দুটি স্তন | পরিবর্তে‚ দেহে শোভা পেতে লাগল এইট প্যাকস |
নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত থমাস বিয়ে করেন ন্যান্সিকে | এই ন্যান্সি আবার হিসটেরেকটমি করিয়েছেন | ফলে মা হওয়ার জন্য ডোনারের কাছ থেকে স্পার্ম নিলেন থমাস | আর্টিফিশিয়াল ইনসেমিনেশন করা হয় | এরপর স্বাভাবিক ভাবে জন্ম দেন তিন সন্তানের | থমাসের বড় মেয়ে সুজানের বয়স ৭‚ তার ছেলে অস্টিন ৭ বছরের এবং ছোট ছেলে জ্যানসন ৫ বছরের | তিন জনকেই আবার স্তন্যপান করিয়েছেন স্ত্রী ন্যান্সি |
বর্তমানে অ্যারিজোনায় তিন সন্তান এবং স্ত্রী ন্যান্সিকে নিয়ে ভরপুর সংসারে দিব্যি আছেন ‘বিশ্বের প্রথম পুরুষ-মা’ থমাস বেটি |