দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড় এবার মাঝারি ধরনের শৈতপ্রবাহের কবলে পড়েছে। গতকাল এ জেলায় মাঝারি ধরনের শৈতপ্রবাহ বয়ে গেছে। এদিন সকালে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা সারাদেশে এ মৌসুমে সর্বনিম্ন। আগের দিন তাপামাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জানুয়ারির শুরু থেকে পঞ্চগড়ে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ থেকে ১৪ ডিগ্রির মধ্যে ওঠা-নামা করছে। এদিকে হাড়কাঁপানো তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
জানা যায়, গত শুক্র থেকে রবিবার টানা তিন দিন উত্তরের এই জনপদে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। গতকাল মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়ে পঞ্চগড়। ওই তিন দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি থেকে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করে।
এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মানুষ জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, এক দিন বিরতির পর গত দুদিন পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। গতকাল থেকে জেলায় মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি এ মৌসুমের প্রথম মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৌসুমের তৃতীয় দফায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। গতকাল জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় তীব্র শীতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। অলস সময় পার করছেন ব্যাটারি-প্যাডেলচালিত ভ্যান ও ইজিবাইক চালকরা। তীব্র শীতে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি কাজও। মাঠে বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষকরাও ঠিকমতো কৃষি কাজ করতে পারছেন না।
চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আগামী সোমবার পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা বাড়তে পারে। দফায় দফায় শৈত্যপ্রবাহ বইতে থাকায় শীতজনিত রোগবালাই বাড়ছে।
সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের পরামর্শক মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, বর্তমানে চিকিৎসা নিতে রোটাভাইরাসজনিত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ শ্বাসকষ্টের রোগীরা বেশি আসছেন।