একজন মাদকাসক্ত একটি পরিবারের জন্য রীতিমতো অভিশাপ। মাদক একজন মাদকাসক্তকে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য করে দেয়। মা-বাবাকে হত্যা থেকে সন্তান বিক্রি- এমন বহু কাণ্ড ঘটিয়েছে মাদকাসক্তরা। তবে এবার ভারতের পঞ্চাবের লুধিয়ানার এই ঘটনা যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগের অন্ধকারকেও তা হার মানিয়েছে।
নেশার টাকা জোগাড় করতে সাত বন্ধুকে দিয়ে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করানোর অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার কাছ থেকে অত্যাচারের বিবরণ শুনে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারীদেরও।
জিনিউজ এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, লুধিয়ানার ঢাকা গ্রামের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই নেশায় আসক্ত। একটা সময়ে দিনমজুরির কাজ করলেও, এখন সেরকমভাবে কোনও কাজ করে না। অথচ, দিনরাত নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে। নেশার টাকা জোগাড় করতেই বন্ধুদের এক শর্তে রাজি হয়ে যায় সে। এক রাতে, ২২ বছরের স্ত্রী ঘরে একা থাকাকালীন ওই ব্যক্তির নেশার সঙ্গী সাত বন্ধুকে সেখানে ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এরপর বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় সে। সাত জন ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
এখানেই শেষ নয়, গোটা ঘটনার ভিডিও মোবাইলে তুলে রাখে তারা। এরপর থেকেই ওই অভিযুক্ত সাত জন, নির্যাতিতার স্বামীকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে। নির্যাতিতার অভিযোগ, একবার নয়, একাধিকবার এইভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অবশেষে লুধিয়ানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তদের।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা অনুসারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এখনো আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি নির্যাতিতা। শরীরের থেকেও গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে মনে। নিজের ছোট্ট মেয়েকে দেখেই সেই ক্ষতে প্রলেপ লাগিয়ে স্বামী ও তার বন্ধুদের কঠিন শাস্তির দাবির করেছেন তিনি।