নারায়ণগঞ্জ সাত খুন মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত নূর হোসেনকে ২ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি আদালত। বন্দি প্রত্যার্পণের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর মধ্যে সমন্বয় করে তাকে ফেরত পাঠানো হবে। তবে পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা আর মহররম মিলিয়ে সামনে লম্বা ছুটি থাকায় তাকে ফেরত পাঠাতে বিলম্ব হতে পারে। শুক্রবার বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়—অভিযুক্ত নূর হোসেনকে দ্রুত ফেরত পাঠানো নির্দেশ কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সন্দীপ চক্রবর্তী। দুই মাসের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে হবে যে, নূর হোসেনকে নিয়ম মেনে প্রত্যর্পণ করা হয়েছে। তবে পুলিশ আর কারা দপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন—বন্দি প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল।
কারা দপ্তরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন—আদালতের নির্দেশ আসার পরে রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে থাকা বিদেশি বিভাগ প্রত্যর্পণের একটা সমান্তরাল আদেশ দেবে। একই সঙ্গে আদালতের আদেশ যাবে কারাগারে আর সেটি যে পুলিশ বিভাগের অধীন, সেই ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের কাছেও। তারা সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে সমন্বয় করে এসকর্ট করে সীমান্ত পর্যন্ত নিয়ে যাবে।
বিএসএফের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন—তারা এখনো আদালতের নির্দেশ বা পুলিশের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাননি। নির্দেশ পেলেই বিজিবির সঙ্গে কথা বলবেন তারা। নিয়ম অনুযায়ী বিএসএফ নূর হোসেনকে নিয়ে সীমান্তের জিরো লাইন অবধি গিয়ে বিজিবির হাতে তুলে দেবে।
প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত, রাজ্য সরকারের একজন কর্মকর্তা জানান—সাধারণত এই প্রক্রিয়া শেষ করতে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। তবে এটা যেহেতু একটা গুরুত্বপূর্ণ মামলা, তাই হয়তো খুব দ্রুতই শেষ করা হবে প্রক্রিয়াটি। তবে পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা আর মহররম মিলিয়ে সামনেই লম্বা ছুটি, তার আগে এতা দপ্তর নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে নূর হোসেনকে ফিরিয়ে দিতে পারবে কিনা, নাকি আরো কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। কিন্তু প্রশাসন চাইছে যত দ্রুত সম্ভব নূর হোসেনকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিতে।