ঘর ভর্তি ঠাসা লোক। সবার মাঝেই সোনমের গালে সপাটে থাপ্পড় মারলেন আবরার জহুর। না এখানেই থেমে থাকলেন না জহুর চলল মেঝেতে ফেলে পেটে, পিঠে লাথি। আর এই অত্যাচার থামল কাট বলার সঙ্গে। না না সোনমে সত্যি মারছিলেন না আবরার। আসলে চলছিল ‘নীরজা’ ছবির শুটিং। তবে বলে রাখি, ওই অসহ্য মারের একটাও অভিনয় নয়। পরিচালকের দাবিতে আর চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে রীতিমতো শারীরিক নির্যাতন সইতে হয়েছে সোহমকে। তবুও মেয়ের মুখে রা নেই। ধন্যি মেয়ে জানিয়েছেন, “আমার সারা গায়ে কালসিটে পড়ে গিয়েছে। পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছি। কিন্তু, এই ছবির জন্য কোনও বডি ডবলের সাহায্য আমি নেব না। কষ্ট হচ্ছে ঠিকই! দিনে প্রায় ১৬ ঘণ্টা ধরে এমন এক চরিত্রে শুটিং করা তো আর সহজ ব্যাপার নয়। যাই হোক, ছবির কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে”।
তবে সোনম যে ব্যাপারটা মেনে নিয়েছেন, তার কারণ কিন্তু শুধুই পরিচালকের দাবি নয়! রাম মধবানির ‘নীরজা’ ছবি তৈরি হচ্ছে এক প্লেন হাইজ্যাকের সত্যি ঘটনা নিয়ে। ১৯৮৬ সালে প্যান অ্যামের বিমানসেবিকা নীরজা ভানট যাত্রীদের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে নিজের প্রাণ দিয়েছিলেন। প্লেন হাইজ্যাকের সময়ে তাঁর উপর যথেষ্ট শারীরিক নির্যাতনও চালায় চার জঙ্গি। নীরজার চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে এ ভাবেই একাত্ম হতে চাইছেন নায়িকা। ভাগ করে নিতে চাইছেন ২২ বছরের অকাল প্রয়াত নীরজার যন্ত্রণা।