বিশেষ প্রতিবেদক:
প্রায় তিন মাসে আগে নগরীর চকবাজার এলাকা থেকে আবদুল্লাহ নামে এক কিশোর নিখোঁজ হয়। তাকে খুঁজতে গিয়ে নগরীর পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকায় নব্য জেএমবির আস্তানার সন্ধান পায় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। সেখান থেকে গ্রেফতার হওয়া দুই আত্মঘাতী জঙ্গি জানিয়েছে, তাদের সদরঘাট থানায় হামলার পরিকল্পনা ছিল। ওই থানার ওসি একজন নারী হওয়ায় তারা সেখানে হামলার পরিকল্পনা নেয়। সিটিটিসি’র কর্মকর্তারা মনে করছেন, নব্য জেএমবির দুই সদস্যকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে হামলার পরিকল্পনা ভন্ডুলের পাশাপাশি বড় ধরনের নাশকতা থেকে চট্টগ্রামকে বাঁচানো গেছে। আটককৃত দুই জঙ্গির নাম আশফাকুর রহমান (২১) ও রাকিবুল হাসান (২০)।
অভিযানে নেতৃত্বে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোর আবদল্লাহ নিখোঁজের ঘটনায় নগরীর চকবাজার থানায় একটি জিডি হয়। সেটা তদন্ত করতে গিয়ে দেখি আবদুল্লাহর অবস্থান নগরীর সদরঘাট থানা এলাকায়। আমরা অবস্থান পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার আগেই দেখি আবদুল্লাহ নেত্রকোনার কলমাকান্দায় চলে গেছে। সদরঘাটে অবস্থানের বিষয়টি গভীরভাবে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জঙ্গি আস্তানাটির সন্ধান মেলে। আবদুল্লাহও বর্তমানে নব্য জেএমবির সঙ্গেই আছে। তাকে এখনো পাওয়া যায়নি। প্রায় এক মাস ধরে রেকি করার পর সোমবার রাতে পূর্ব মাদারবাড়ির বালুর মাঠ সংলগ্ন পোর্ট সিটি হাউজিং সোসাইটির মিনু ভবনের পঞ্চম তলায় অভিযান চালানো হয়। এসময় সেখান থেকে দুজনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি সদরঘাট থানায় হামলার পরিকল্পনা-সংবলিত টার্গেট ওয়ান লেখা একটি মানচিত্র পাওয়া গেছে।
সাত দিনের রিমান্ড : এদিকে নগরীতে গ্রেফতার নব্য জেএমবির দুই সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য পুলিশকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু ছালেম মোহাম্মদ নোমান রিমান্ডে নেওয়ার এই আদেশ দিয়েছেন।
সিটিটিসির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এ এ এম হুমায়ুন কবির জানান, সিটিটিসি’র পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়ার দায়ের করা মামলায় রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসি’র পরিদর্শক আফতাব আহমেদ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন। শুনানি শেষে আদালত সাতদিন মঞ্জুর করেছেন।