[english_date]

নাসার বর্ষসেরা উদ্ভাবক বাংলাদেশের মাহমুদা

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এবছরের অভ্যন্তরীণ গবেষণা ও উন্নয়ন বিষয়ক সেরা উদ্ভাবকের পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের মেয়ে মাহমুদা সুলতানা। নাসার গদার্দ মহাকাশ উড্ডয়ন কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ গবেষণা ও উন্নয়ন (আইআরএডি) কর্মসূচির অধীনে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে তাত্পর্যপূর্ণ অবদানের জন্য প্রতি বছর ‘আইআরএডি ইনোভেটর অব দি ইয়ার’ শিরোনামে এই  পুরস্কার দেওয়া হয়। এবার মহাকাশে ব্যবহারযোগ্য ক্ষুদ্র ও কার্যকরভাবে আলোক তরঙ্গ শনাক্তকারী বর্ণালিমিটার উদ্ভাবন ও ন্যানো ম্যাটেরিয়ালের উন্নয়নে ‘যুগান্তকারী’ অবদানের জন্য এ পুরস্কার পাচ্ছেন মাহমুদা।

নাসার ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের এই তরুণীকে ২০১৭ সালের সেরা উদ্ভাবকের পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা আসে গত ২৪ অক্টোবর। নাসার সাময়িকী ‘কাটিং এজ’ এর সর্বশেষ প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করা হয়েছে মাহমুদাকে নিয়ে। সেখানে বলা হয়, ছেলেবেলায় বাংলাদেশে বসবাস করা মাহমুদা নাসা সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখার সুযোগ সম্ভবত সমবয়সী অন্য বাংলাদেশি শিশুদের থেকে একটু বেশিই পেয়েছেন। কারণ তার এক চাচা পদার্থবিদ হিসেবে নাসার এমিস গবেষণা কেন্দ্রে কাজ করেছেন।

কৈশোরে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো মাহমুদা সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক করেন। ২০১০ সালে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে তিনি পিএইচডি করেন। বেল ল্যাবরেটরিতে শিক্ষানবিশ গবেষক হিসেবে কাজ করা মাহমুদা এমআইটির এক চাকরি মেলা থেকে নাসায় যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পান। নাসার গদার্দ ডিটেক্টর সিস্টেম শাখার নিয়োগকর্তা টমাস স্টিভেনসন তাকে সেখানে যুক্ত করেন।

এ প্রসঙ্গে ‘কাটিং এজ’কে মাহমুদা বলেন, ‘আমার ভাগ্য ভালো ছিল। স্টিভেনসনের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল।’ আর মাহমুদাকে সেরা উদ্ভাবকের জন্য মনোনীত করা গদার্দের প্রধান প্রযুক্তিবিদ পিটার হুগেস বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান যে সে নাসায় এসেছিল।’
বিডিনিউজ।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ