আর্থনিউজ২৪, ওয়েবডেস্ক:
কাছে যেতে এখনও অন্তত মাস তিনেক বাকি৷ কিন্তু এখন থেকেই মহাকাশযানের ক্যামেরা ধরে ফেলেছে তার বিন্দুবত্ উপস্হিতি৷ সে প্লুটো৷ একদা সৌরজগতের নবম গ্রহরূপে পরিচিত ছিল৷ কিন্তু কৌলিন্য হারিয়ে বর্তমানে তার স্থান ‘বামন গ্রহ’দের দলে৷ আগামী জুলাই মাসে এই গ্রহের কাছাকাছি পৌছনোর কথা নাসার ‘নিউ হরাইজন’ মহাকাশযানের৷ সে এখনও ঢের দেরি৷ কিন্ত্ত রীতিমতো ছবি প্রকাশ করে নাসার মহাকাশবিজ্ঞানীদের দাবি, এখন থেকেই না কি দেখা যাচেছ প্লুটোকে৷ ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে ফ্লোরিডা থেকে পাড়ি দিয়েছিল ‘নিউ হরাইজন’ মহাকাশযান৷ গন্তব্য ছিল সৌরমণ্ডলের ‘কুইপার বেল্ট নামক চিহিত এলাকার বাসিন্দা এবং নেপচুন গ্রহের পিছনে অবস্হিত প্লুটো৷ আকৃতিতে এই গ্রহ পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদের দুই-তৃতীয়াংশ৷ এই গ্রহের ব্যাস মাত্র ১,৪৩০ মাইল৷ এহেন ক্ষুদ্র গ্রহ মর্যাদা হারিয়ে ‘বামন গ্রহে’ পরিণত হলেও এর সম্বন্ধে এখনও মহাকাশবিজ্ঞানীরা গবেষণার আগ্রহ হারাননি৷ ‘নাসা’র গবেষকদের হিসাবমতো আগামী ১৪ জুলাই প্লুটোপৃষ্ঠের কাছাকাছি আসবে ‘নিউ হরাইজন’ মহাকাশযানটি৷ কিন্ত্ত মঙ্গলবারই যে রঙিন চিত্র নাসার তরফে প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে মহাকাশযানটির ক্যামেরায় বিন্দুর মতো এর অবয়ব ধরা পড়েছে৷
যদিও বিজ্ঞানীদের তুলনায় প্লুটোর এই বিন্দুবত্ চিত্রগুলি এখন মহাকাশযানের ইঞ্জিনিয়ারদের কাজে লাগছে৷ কারণ এগুলি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেই নিউ হরাইজন কীভাবে এর কাছে পৌছবে, তার রোডম্যাপ বানাচেছন তাঁরা৷ গবেষকদের মত, মহাকাশযানটির মধ্যে জ্বালানি আর বেশি পরিমাণে অবশিষ্ট নেই৷ তাই সম্ভবত প্লুটোর পরিমণ্ডলে অবতরণ করতে পারবে না এটি৷ কিন্ত্ত যাওয়ার পথেই গ্রহটিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে সে৷ নিউ হরাইজন মহাকাশযানটির তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক, অ্যালিস বোম্যান একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “কঠোর পরিশ্রম করে এই পর্যন্ত পৌছেছি আমরা৷ আর মাত্র এক পা বাকি৷” প্লুটোর গবেষণার পর কুইপার বেল্ট থেকে বেরিয়ে আসবে নিউ হরাইজন ৷
পোস্টটি যতজন পড়েছেন : 165