৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কী করে চিনবেন ছলনাময়ী নারী !

আর্থনিউজ২৪:

ওয়েব ডেস্কঃ পুরুষের একটা দোষ আছে। কোনও নারী যদি তার দিকে চেয়ে একচিলতে হাসে, ধরেই নেয় কাজ হয়ে গেছে। হসি তো ফসি। মেয়ে ইমপ্রেসড্! সহজেই রাজি হয়ে যাবে। এক-কে একশো ভেবে ফেলে সেই নির্বোধ পুরুষ। তাই নারীকে একপ্রকার বাধ্য হয়েই অতিমাত্রায় ব্যক্তিত্ব ধরে রাখতে হয় পুরুষের সামনে। ইচ্ছে না থাকলেও জোর করে দুর্ব্যবহার করতে হয় অনেক সময়। কোনও পুরুষ যেচে আলাপ করতে এলে, এমন অ্যাটি দেখায়, যেন বাকিংহাম প্যালেসের রানি! মুখ ঘুরিয়ে চলে যায়। খারাপ কথা বলে দেয়। হাবেভাবে বোঝায়, “তোমাকে আমার চাই না”। পুরুষ পড়ে ধন্দে। মনে করে নারী খুব জটিল প্রাণী। …এবং জেনে রাখুন, এই শ্রেণির নারীর সংখ্যাই আমাদের সমাজে বেশি। ঘরে-বাইরে দীর্ঘদিনের ট্রেনিংয়ের ফলেই এই প্রকার নারীর আবির্ভাব।

আরও একটা নির্বোধ টাইপ আছে, যার কোনও ইগোফিগো নেই। যে নারী কোনও ছকে চলে না, তাকে নিয়েই যত জ্বালা। সে হাসলে পুরুষ ভেবে নেয় অনেককিছু। খেতে দিলে, শুতে চায়। এই নারী নিতান্ত সরল টাইপ। এই টাইপটাকে মানুষ সহজেই ভুল বোঝে। সে যদি ভালো মনে কিছু করতেও যায়, খারাপটাই ভেবে নেয় সকলে। মনে করে অন্য কোনও মতলব আছে তার। কিন্তু এই দুই প্রকার নারীর বাইরেও আরও একপ্রকার নারী আছে, যে ফ্লার্টিংকে শিল্পের পর্যায় নিয়ে গেছে। আলাপের প্রথম প্রথম এমন হাবভাব করে, যেন ভাজা মাছটা উলটেই খেতে শেখেনি। পৃথিবীর রং, রূপ, গন্ধ – সবই প্রথম দেখছে। শিহরিত হচ্ছে পলকে পলকে। সেই মেকি সারল্যের প্রেমে পড়ে পুরুষ।

তখনই অনেকটা জিতে যায় ছলনাময়ী। ক্রমে সুতো ছাড়তে শুরু করে। এই ধরনের নারী কিন্তু খুব ধীরস্থির। হড়বড় করে কথা বলে না। খুব মার্জিত চালচলন। মিষ্টি হাসিটাও ফেক। দীর্ঘদিনের হোমওয়ার্ক করে আনা। সাধারণত কমিটমেন্টে বিশ্বাস করে না। একই সময় বহুপুরুষের সঙ্গে সদ্ভাব রাখতে পারে। এমন নারী বিশ্বাসের অযোগ্য হলেও, সবাই তাকে বিশ্বাস করে নেয়। সে আসে, দেখে, জয় করে। কী করে চিনবেন [review]এমন নারীকে, কী করে বুঝবেন তিনি ফ্লার্ট করছেন আপনার সঙ্গে।

জেনে নিন –

১. লজ্জাই নারীর ভূষণ। এই ধরনের নারীরা আপাত ভদ্র হলেও তাদের মধ্যে নির্লজ্জ হাবভাব প্রকাশ পায়। পুরুষের চোখের দিকে চেয়ে থেকে এমনভাবে, যেন তার ভিতরটা পড়ে ফেলছে। নারীর ওই দৃষ্টি পুরুষের সর্বনাশের কারণ।
২. মাথার চুল নিয়ে নাড়াচাড়া করতে শুরু করে কথা বলার সময়। পুরুষকে বাধ্য করে তার রূপের দিকে নজর দিতে। ইচ্ছে করে ইঙ্গিতবাহী পোশাক পরে আসে তার সামনে। যাতে সহজেই আকৃষ্ট করতে পারে।
৩. পুরুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে প্রথমে। তারপর তার বাড়ির ব্যাপারে খোঁজ নিতে থাকে। যেহেতু এই নারীকে পুরুষ সহজেই বিশ্বাস করে নেয়, নিজের সম্পর্কে সবই তাকে বলে ফেলে। এমন নারী কিন্তু পুরুষকে ফাঁদে ফেলতে ওস্তাদ। নানাভাবে বিশ্বাস অর্জন করে, ব্ল্যাকমেইল করতেও পিছপা হয় না।
৪. নানা ছুতোয় কথা বলার সুযোগ খোঁজে এই নারী। এড়িয়ে গেলে বাড়ি চলে আসে। যেহেতু ততদিনে বাড়ির লোকের সঙ্গেও সদ্ভাব করে নেয়, তাই বাড়ির লোকের নজরেও সে বিশ্বাসযোগ্য।
৫. বারংবার দেখা করার ফাঁক খোঁজে। সেই দেখা হওয়া কিন্তু একান্তে। অন্য কাউকে ডাকে না তখন।
৬. মাঝরাতে মেসেজ করে। রাত ১টা, ২টোর সময় মাখোমাখো মেসেজ পাঠাতে থাকে।
৭. এমন নারীর সঙ্গে কখনওই মদ্যপান করা উচিত নয়। হতেই পারে অচৈতন্য মুহূর্তের সুযোগ নিয়ে পরবর্তীকালে সমস্যায় ফেলে দিল।
৮. এই নারী নানা অছিলায় যৌনতাকে নিয়ে আসে আলোচনার মধ্যে। পুরুষকে যৌনভাবে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে। সেই উত্তেজনার বশে পুরুষ যদি মাত্রাতিরিক্ত কিছু করেও ফেলে, বিপদ কিন্তু পুরুষেরই। এই নারী কিন্তু অবলীলায় দোষ চাপিয়ে দিতে পারে পুরুষের ঘাড়ে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ