রিকি দাশ
আমাদের সমাজে নারী ও শিশুরা এখনো অবহেলিত।প্রায় সবক্ষেত্রেই নারীরা লাঞ্ছিত শিশুরা বঞ্চিত।
জন্মের পর থেকেই আমরা নারীর কোমলময়ী আঁচলে বেড়ে উঠি।সেই নারী হচ্ছেন মা। নারীরা এখন আগের মতন পিছিয়ে না থাকলে ও আমাদের সমাজে নারী পুরুষের বৈষম্য এখনো মিটেনি।এখনো অনেকের কাছেই একজন নারী কেবল নারী হিসেবেই পরিচিত,মানুষ হিসেবে নয়। আমরা যতই আধুনিক পৃথিবীর উদাহরণ দিইনা কেন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার কথা বলিনা কেন আজো আমাদের সমাজের নারীদের লুকিয়ে চলতে হয় এক শ্রেণীর জন্তু থেকে।কিছু মানুষরূপী কীট থেকে যাদের কাছে নারীরা ভোগপন্য,যারা সুযোগ খোঁজে নারীদের দুর্বলতার।এমন কিছু কীট যারা মানুষরূপী মুখোশে দিব্যি ঘুরে বেড়ায় আমাদের সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে!যে নারী কারো না কারো মা,বোন,স্ত্রী সেই নারীরা লাঞ্ছিত সেইটা সভ্য অসভ্য দুই শ্রেণীর লোক থেকেই।এরকম ঘটনা প্রতিনিয়ত আমরা দেখে চলছি,আমরা শুনতে পায়।আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খুব সাধারণ একটা ঘটনার কথায় বলা যাক,যা আমরা সবাই জানি প্রতিদিনই হয়তো দেখি,একজন নারীকে বাসে উঠতে গেলে কত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।কু-রুচি সম্পন্ন মানুষগুলোর গায়ে হাত দেওয়ার কত চেষ্টা,সেটা তার মেয়ের বয়সী হোক অথবা মায়ের।রাস্তায় বের হলেই চলতে চলতে শুনতে হয় নানা ধরনের কু-মন্তব্য।প্রতি পদক্ষেপেই কু-দৃষ্টির লাঞ্ছনা।এমনও অনেক নারী আছেন যারা দিনে এনে দিনে খাই,মজুরী খাটে,হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে পরিবার চালায়।অনেকে আছেন যারা বাসায় কাজ করেন,তাদের শিকার হতে হয় লাঞ্চনার।সেদিন একজন মহিলাকে দেখেছিলাম রিক্সা চালাচ্ছেন,আর তাঁর পরিশ্রম দেখে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অনেক মানুষ হাসছেন।এত কষ্ট করে যে মানুষ গুলো পেটের দায়ে পরিবারের দায়ে পথে বের হয়েছে তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাবোধই বা আমাদের সমাজের সভ্যদের কতটুকু?কিন্তু তাদের সহায় সহানুভূতি দেওয়ার মতন ও কেউ নেই।পাশে দাঁড়ানোর মতন কেউ নেই।অসহায়ের মতন নিঃশব্দে সয়ে যেতে হয় লাঞ্ছনা।একসময় সয়ে ও যায়।আমাদের আশেপাশেই এমন ঘটনা অসংখ্য!হয়তো এখন আমরা দেখেও দেখিনা।কিন্তু এভাবে আর কত!আমাদের বিবেকবোধ দিন দিন যেন এসবের ভিড়ে চাপা পড়ে যাচ্ছে।আমরা পালিয়ে বেড়াতে,মুখ লুকিয়ে বেড়াতে যেন অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি ক্রমশ…!
নারীরাই বা নারীদের পাশে কতটুকু দাড়ায়?আমরা নারীরা যদিই নারীদের পাশে না দাড়ায় তবে হয়তো এভাবেই লাঞ্চিত হতে হবে প্রতি পদক্ষেপে।আর সেক্ষেত্রে পরাজয় তো নারীদেরই!
শিশুরা কোমল ফুলের মতন,নিস্পাপ,পবিত্র।শিশুদের মুখের নির্মল হাসি দেখলে কার না মন ভালো হয়।কিন্তু সেই হাসি যখন দারিদ্র্যতার আড়ালে পড়ে যায় তখন তার পৃথিবীটায় মলিন হয়ে যায়। শিশুশ্রম যদিও অপরাধ তবুও অনেক শিশুই আমাদের সমাজে শৈশব বোঝার আগেই কাজের মানে বুঝে যায়!দারিদ্র্যতার গ্লানি হয়তো এটাই।এই শিশুরা হয়তো জানেনা কিভাবে শিশুরা বেড়ে উঠে,এই পৃথিবীর সৌন্দর্য হয়তো তাদের কাছে চিরকালই ম্লান হয়ে থাকবে।কারনে অকারণে আমরা প্রয়োজনের বাইরে হয়তো আমরা অনেক টাকা পয়সায় খরচ করি,আমরা কি পারিনা কোন এক শিশুর পাশে দাড়াতে?আমরা যেভাবে শৈশব কাটিয়েছি আমরা হয়তো চাইলেই সেই আনন্দের কিছুটা ও অন্য পথ শিশুদের দিতে পারি।এক্ষেত্রে আমাদের সামান্য কিছু যদি কারো শিক্ষায় কারো বেঁড়ে উঠায় লাগতে পারে তবে প্রাপ্তি টা ও হয়তো আমাদের।শিশুরা সমাজের ভবিষ্যৎ কর্ণধার।তাদের এগিয়ে যাওয়াতেই আমাদের পথ প্রসারিত হবে।আর সেই শিশুরাই যখন দারিদ্র্যতার কবলে পড়ে ভিক্ষাবৃত্তি,শ্রমিক,ছিনতাই এসবকেই পেশা হিসেবে বেছে নেয় তখন আমাদের ভবিষ্যৎ হয়তো কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে আমাদের জানা নেই!সবাই হয়তো পারিনা,কেউ কেউ হয়তো পারি।অথবা কয়েকজন মিলে হয়তো একজনের পাশে দাঁড়াতে পারি।আমার বন্ধুদের এমন অনেক আছেন যারা সবসময় এদের জন্য কাজ করেন,এদের নিয়ে ভাবে,তাদের কাজ,চিন্তাভাবনা দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হই।সেদিন একটা ছোট্ট ছেলে ভিক্ষা চাইতে আসলে তাকে জিজ্ঞেস করলাম-কিরে তুই তো এতটুকুন একটা ছেলে ভিক্ষা করিস কেন?সে বললো খাওনের লাগি করি। স্কুলে পড়িস?সে বলল মা কইছে পড়তে টাকার দরকারৃআমরা গরিব,বলেই তার দৌড়। এরকম অসংখ্য আছে।যদিও এখন কার তরুণ তরুণীরা এদের নিয়ে ভাবে তাদের জন্য কাজ করার চেষ্টা করে,তবুও আরও চেষ্টা আমাদের করতে হবে ভাল কিছু করারৃ
নারী ও শিশুর প্রতি এই লাঞ্চনা চলতে থাকলে আমরা বরাবরই বর্বর হয়ে থাকবো।এই বর্বরতা থেকে নিজেদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নিজেদের করে নিতে হবে!পাশে দাঁড়াতে একজন আরেকজনের।নারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে নারীদের,পাশে দাড়াতে হবে নারীদের।
পাশে দাড়াতে হবে শিশুদের।শিক্ষার আলোয় আলোকিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে তাদের। এই পৃথিবী সুন্দর। এই সুন্দর পৃথিবীর সৌন্দর্য উপলব্ধি করার অধিকার তাদের ও!
লো খাওনের লাগি করি। স্কুলে পড়িস?সে বলল মা কইছে পড়তে টাকার দরকারৃআমরা গরিব,বলেই তার দৌড়। এরকম অসংখ্য আছে। যদিও এখন কার তরুণ তরুণীরা এদের নিয়ে ভাবে তাদের জন্য কাজ করার চেষ্টা করে,তবুও আরও চেষ্টা আমাদের করতে হবে ভাল কিছু করার।
নারী ও শিশুর প্রতি এই লাঞ্চনা চলতে থাকলে আমরা বরাবরই বর্বর হয়ে থাকবো। এই বর্বরতা থেকে নিজেদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নিজেদের করে নিতে হবে!পাশে দাঁড়াতে একজন আরেকজনের।নারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে নারীদের,পাশে দাড়াতে হবে নারীদের।
পাশে দাড়াতে হবে শিশুদের। শিক্ষার আলোয় আলোকিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে তাদের।এই পৃথিবী সুন্দর।এই সুন্দর পৃথিবীর সৌন্দর্য উপলব্ধি করার অধিকার তাদের ও!