[english_date]

‘নারীর ক্ষমতায়ন ও জাগরণে বেগম রোকেয়াদের উত্তরসূরী ছিলেন নূরজাহান বেগম’

নারীর ক্ষমতায়ন ও জাগরণে বেগম রোকেয়া, জাহানারা ইমাম, সুফিয়া কামালদের যোগ্য উত্তরসূরী ছিলেন নূরজাহান বেগম।সোমবার বাদ জোহর নারিন্দার বাসভবনে নূরজাহান বেগমের প্রথম জানাজায় নেওয়ার পর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বেগম রোকেয়াদের পরবর্তী সময়ে নূরজাহান বেগম পত্রিকাটি সফলভাবে হাল ধরেছিলেন। আজ তার অবর্তমানে বেগম পত্রিকাটির সংরক্ষণ প্রয়োজন। ইতোমধ্যে তার বড় মেয়ে পত্রিকাটির মূল দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা তাকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবো।

তিনি বলেন, নূরজাহান বেগম শুধু পত্রিকার সম্পাদকই ছিলেন না, তিনি সাহিত্য চর্চা, নারীর ক্ষমতায়ন, প্রবল চিন্তা শক্তিসহ বেগম রোকেয়াদের ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছেন। তিনি ছিলেন নারী জাগরণের পথিকৃত।

উল্লেখ্য, নূরজাহান বেগমের প্রথম জানাজা শেষে মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয়েছে।  যেখানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের শ্রদ্ধা জানানো শেষে রাতেই তাকে মিরপুরস্থ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের কথা রয়েছে।

এর আগে, সোমবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।চাঁদপুরের চালিতা তলীতে ১৯২৫ সালের ৪ জুন  নূরজাহান বেগম জন্মগ্রহণ করেন। নূরজাহান বেগমের মায়ের নাম ফাতেমা বেগম। তিনি পিতামাতার একমাত্র সন্তান ছিলেন। তার পরিবার ১৯২৯ সালে গ্রাম ছেড়ে কলকাতায় চলে আসে। ‘সওগাত’ পত্রিকার দপ্তর ১১ নম্বর ওয়েলসলি স্ট্রিটের দোতলা বাড়িতেই তারা থাকতেন। এই অফিসেই নিয়মিত সাহিত্য মজলিস বসত। যেখানে কাজী নজরুল ইসলাম, খান মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন, আবুল মনসুর আহমদ, আবুল কালাম শামসুদ্দিন, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী, হবীবুল্লাহ বাহার, ইব্রাহীম খাঁ, কাজী মোতাহার হোসেনসহ বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব অংশ নিতেন। এই সাহিত্য মজলিসের নিয়মিত শ্রোতা হয়ে ওঠেন নূরজাহান বেগম নূরী। তারা তাকে নূরী বলেই ডাকতেন। এই ব্যক্তিবর্গ নূরীর মানস গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে বলে পরিণত নূরজাহান বেগম বিভিন্ন জায়গায় উল্লেখ করেন।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ