একদিকে মায়ানমার সেনাবাহিনী অন্যদিকে সাগরের উত্তাল টেউ ও সীমান্ত জঠিলতা অসহায় রোহিঙ্গা শিশু নারী ওপুরুষের লাশ ভাসছে নাফ নদীতে।জেলার শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম পাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে ১৯ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ নারী ও ১০ শিশুর লাশ রয়েছে।বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য নুরুল আমিন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাবাহী তিনটি নৌকা সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে গেছে। সকালে জোয়ারের পানিতে শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম পাড়া সৈকতে ১৯টি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় লোকজন সাগরে ভাসতে থাকা ১৯টি লাশ উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে। বিষয়টি বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশকে জানানো হয়েছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন জানান, পুলিশের একটি দল শাহপরীর দ্বীপে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বলা যাবে।
এর আগে বুধবার সকালে একটি নৌকা ডুবির ঘটনায় টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণপাড়া ও মাঝেরপাড়া সৈকত থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। উদ্ধার চারজনের মধ্যে দুজন নারী ও দুইজন শিশু ছিল।
এদিকে মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যে একসঙ্গে ২৪টি পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
এরপর ‘সন্ত্রাসীদের’ সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তাকর্মীদের সংঘর্ষে প্রায় একশজন নিহত হন। এর মধ্যে ১২ নিরাপত্তাকর্মী ও বাকিদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে দাবি করেছে মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় পরামর্শদাতার কার্যালয়।
এরপর থেকেই হাজার হাজার মানুষ মিয়ানমার থেকে নদী, সমুদ্র ও স্থলপথে বাংলাদেশে আসা শুরু করে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) হিসাব অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে প্রায় ১৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। যদিও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সীমান্ত দিয়ে কাউকে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
এর আগে গত বছরের ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য মারা যান। অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের ঘটনা ঘটে।