রাতে আপনি আরামে ঘুমাচ্ছেন। কিন্তু ঘুমাতে পারছেন না আপনার পাশের মানুষটি। আর তার কারণ আপনি নিজেই- ভীষণ নাক ডাকেন আপনি!
ঘুমের ঘোরে অনেকেই নাক ডাকেন। ঘুমে মগ্ন থাকেন বলে অনেকে ব্যাপারটি বুঝতে পারেন না যে, তাদের নাক ডাকার ফলে পাশের মানুষটির ঘুম নষ্ট হচ্ছে। ব্যাপারটি নিশ্চয়ই বিব্রতকর।
নাক ডাকার প্রধান কারণ হলো মিউকাস। মিউকাস হচ্ছে এক ধরনের পিচ্ছিল তরল পদার্থ। যা নাক, সাইনাস ও ফুসফুসের কোষ থেকে তৈরি হয়। উৎপন্ন মিউকাস এরপর প্রসারিত হয় গলার পেছনের দেয়ালের দিকে। তখন মানুষ তা গিলে ফেলে।
সাধারণত নাকে ও গলায় বেশি পরিমাণে মিউকাস উৎপন্ন হলে মানুষ নাক ডাকে। এছাড়াও মিউকাসের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে নাক ডাকার পরিমাণ বাড়তে থাকে।
নাক ডাকার ফলে শুধুমাত্র আশেপাশের মানুষই বিরক্ত হন তা কিন্তু নয়। এটি ব্যক্তির নিজের স্বাস্থ্যের জন্যও হানিকর বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন ফল বা সবজির জুস শরীরের জন্য খুব ভালো। একই সঙ্গে এসব জুস নাক ডাকার প্রাকৃতিক ওষুধও বটে।
প্রতিদিন বিভিন্ন ফল ও সবজির তৈরি জুস খেলে রাতে অতিরিক্ত নাক ডাকার প্রবণতা কমে আসবে। কারণ, ফল ও শাকসবজিতে ক্যালরি কম থাকায় ওজন হ্রাসে সহায়তা করে। আর বাড়তি ওজনের সঙ্গে নাক ডাকার ব্যাপারটি অনেকটা জড়িত।
আগেই বলা হয়েছে, নাক ডাকার মূল কারণ নাকে ও গলায় জমা হওয়া মিউকাস। এসব শাকসবজি ও ফলমূল মিউকাসকে নরম করে ও সহজে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করে। এছাড়াও বিভিন্ন তাজা শাকসবজি ও ফলমূলে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। একই সঙ্গে সুস্থ শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সহায়তা করে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন নানা রকম জুস। তারপরও নাক ডাকা দূর করতে বিশেষ উপযোগী একটি জুসের রেসিপি দেখে নিন। যা যা লাগবে দু’টি গাজর (মাঝারি), দু’টি আপেল, এক চা চামচ আদা কুচি, চার ভাগের এক ভাগ লেবু, সামান্য চিনি।
প্রস্তুত প্রণালী সব উপকরণ মিক্সারে দিয়ে জুস করে ফ্রিজে রেখে দিন। দিনে তিনবার পান করুন। নিয়মিত খেলে দ্রুতই পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।