সালটা ২০০৬৷ একের পর এক বিস্ফোরণে টলে গিয়েছিল মুম্বইয়ের লাইফ লাইন৷ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল পর পর সাতটি লোকাল ট্রেনে৷ মারা যান প্রায় ২০০ জন যাত্রী৷ আহতের সংখ্যা কম করে হাজার৷ ওই দিন এক অভিশপ্ত ট্রেনে বসেছিলেন বছর ২৬-এর যুবক পরাগ সাওয়ান্ত৷ বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন তিনি৷ এর পর থেকে আর জ্ঞান ফেরেনি তাঁর৷ গত ন’টা বছর হাসপাতালই ছিল তাঁর ঠিকানা৷ মঙ্গলবার সকালে মুম্বইয়ের পিডি হিন্দুজা হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর৷
এদিন হাসপাতালের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, সকাল ছটার পর তাঁর মস্তিষ্ক একেবারেই অকেজো হতে শুরু করে৷লাইফ সাপোর্ট থাকা সত্বেও শ্বাসপ্রশ্বাস ঘন ঘন থমকাতে থাকে৷ পরাগকে বাঁচিয়ে রাখার যাবতীয় চেষ্টা ব্যর্থ হয়৷ ছটা ৫৪ মিনিটে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷’’
২০০৬ সালের ১১ জুলাই, ভিরারগামী লোকাল ট্রেন চেপে বাড়ি ফিরছিলেন সাওয়ান্ত৷ মীরা রোড স্টেশনের কাছে ট্রেনে বিস্ফোরণ ঘটে৷ সেই সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তাঁর স্ত্রী প্রীতি৷ এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের জীবনে অন্ধকার নেমে আসে৷বর্তমানে রেল দফতরে কর্মরত প্রীতি৷তিনিই পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য৷যে মেয়েকে পরাগ কোনও দিনই চোখ মেলে দেখতে পাননি, তার বয়স এখন আট৷