বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে উপজেলার আচঁলতা সম্মিলিত সিনিয়র আলিম মাদ্রাসায় অফিস সহকারি (কেরানি) পদের নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পূর্বের অফিস সহকারিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়ে মোটাংকের টাকার বিনিময়ে মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সভাপতি আফসার আলীর আপন ভাতিজা আবু সাঈদকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এনিয়ে সর্বক্ষেত্রে সমালোচনা, শিক্ষানূরাগীদের মধ্যে চাপাক্ষোভ ও বিভিন্ন মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মাদ্রাসার স্থানীয় অভিভাবকদের মধ্যেও চরম ক্ষোভের সঞ্চালন হয়েছে। যেকোনো মুহুর্তে সংঘর্ষের আশংকা থাকায় বৃহস্পতিবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) সহ মাদ্রাসা বোর্ডের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে আচঁলতা সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা সুপার মাহবুবা সুলতানা ও গভর্ণিং বডির সভাপতি আফসার আলীসহ প্রভাবশালীদের যৌথ যোগসাজসে অবৈধ নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে বলেও মাদ্রাসার অভিভাবকরা অভিযোগ তুলেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোপনে ভুয়া নিয়োগ কমিটি তৈরি করে সংশ্লিষ্ঠদের না জানিয়ে মোটাংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে মাদ্রাসা সভাপতি ও সুপার। মাদ্রাসার পূর্বের অফিস সহকারি উপজেলার পাইকরকুড়ি গ্রামের মৃত বাহার উদ্দিনের ছেলে আজাদকে টাকা দিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়ে তার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি শারিরিক ও অসুস্থ্যতার কারনে অবসরে গেছেন। এরপর মাদ্রাসার সভাপতির ভাতিজা আবু সাঈদকে অফিস সহকারি (কেরানি) পদে নিয়োগের প্রস্তুতি নেয়া হয়। এই নিয়োগে অন্তত ২০ লাখ টাকার অবৈধ লেনদেন করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোপনে নিয়োগ ও লেনদেনের বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় শিক্ষানূরাগীদের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হলে বিষয়টি তদন্ত করাসহ নিযোগ বন্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার উর্ধতন শিক্ষা কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়। বিষয়টি জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মাদ্রাসা সুপার মাহবুবা সুলতানা ও সভাপতি আফসার আলীর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো. আব্দুস সামাদ বলেন, মৌখিকভাবে বিষয়টি শুনেছি। তবে বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেখবেন বলে তিনি জানান। মাদ্রাসায় অফিস সহকারি (কেরানি) পদে নিয়োগ পরীক্ষা প্রস্তুতি শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একরামুল হক অনিয়মের অভিযোগ এরিয়ে গেলেও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র সরকার বলেন, তখনি আমরা নিরুপায় থাকি’ যখন অনিয়মের তথ্যগুলো গোপন থাকে। এখন পর্যন্ত অভিযোগটি আমার কাছে পৌছেনি। অভিযোগ ও অনিয়মের সুস্পষ্ট প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।