১৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন লন্ডনের স্নেয়ার্সব্রুকস আদালত। মোহাম্মদ ইসলামের(৩১) নামের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ১৪ বছরের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের তথ্য পাওয়া গেছে। শুনে অবাক হবেন ,ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল। ধর্ষক পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিনে একটি ইসলামিক সেন্টারে আরবির শিক্ষক ছিলেন। মাত্র ৯ বছর থেকেই মেয়েটি ধর্ষণের শিকার।২০১০ সাল থেকেই মোহাম্মদ ইসলাম তাকে যৌন নির্যাতন শুরু করেন। কিন্তু ওই সময় বিষয়টি কাউকে জানায়নি কিশোরী। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে নির্যাতন সহ্য করে ২০১৫ সালে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি পরিবারের নজরে আসে।
তবে মোহাম্মদ ইসলাম আদালতে তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কিশোরী মেয়েটিই তাকে যৌন সম্পর্ক তৈরিতে প্ররোচিত করেছিল! কিন্তু আদালত তা অস্বীকার করেন,কারণ মাত্র ৯ বছর বয়সী নাবালিকা কিশোরী যৌন সম্পর্ক স্থাপনে তার আরবি শিক্ষককে প্ররোচিত করেছেন এমন দাবি আদালত ভিত্তিহীন মনে করেছে। মোহাম্মদ ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত। আদালত কিশোরীর গর্ভের সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করেন যে, ওই গর্ভজাত সন্তানের জনক মোহাম্মদ ইসলাম।
এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বিস্ময় অ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, একজন ধর্মীয় শিক্ষকের মাধ্যমে তার মেয়ে ধর্ষিত হতে পারেন এটা তিনি কখন ভাবতে পারেননি।এই ঘটনায় লন্ডনের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আরবি শিক্ষকদের ওপর আস্থাহীনতা তৈরি হবে বলে মনে করছেন কমিউনিটির বিশিষ্টজনরা। এছাড়া পূর্ব লন্ডনে এই বাজে ঘটনায় আরবি শিক্ষকদের উপর দৃষ্টিকটু মনোভাব তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।