দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে ভৈরবের মেঘনা ও আখাউড়ায় তিতাস নদী ওপর দ্বিতীয় রেল সেতুর নির্মাণ কাজ। ভারত সরকারের অর্থায়নে এ রেল সেতু দু’টির প্রায় ৪৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ডাবল লেনে রেল চালু হলে রেলপথে যাতায়াতে দুই ঘণ্টা সময় কম লাগবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, রেলমন্ত্রী জানালেন আরো সম্ভাবনার কথা। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের অন্যতম মাধ্যম রেলপথ। যাত্রী সেবার মান বাড়াতে নেয়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন ডাবল লেনে উন্নীতকরণের কাজ এগিয়ে চলেছে দ্রুতগতিতে।
আর, এ প্রকল্পের আওতায় কাজ চলছে ভৈরব ও আখাউড়ায় দ্বিতীয় রেলসেতু নির্মাণ কাজও। ২০১৩ সালের ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইরকন ও এফকন যৌথভাবে মেঘনা নদীর ওপর দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতু ও পরের বছর জানুয়ারিতে আখাউড়ায় তিতাস নদীর ওপর দ্বিতীয় রেলসেতু নির্মাণে কাজ শুরু করে গেনন ইন্ডিয়া লিমিটেড।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে, সেতু দু’টি রেলওয়ের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশনা থাকায় দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সেতু দুটি চালুর আশা করছেন তারা। দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক অমিয়াংশু দাশ বলেন, ‘মেজর ব্রিজের সবগুলো পাইলিংয়ের কাজ এ মাসে শেষ হয়ে যাবে। আমরা বর্ষায়ও কাজ করে যাব।’
দ্বিতীয় ভৈরব ও তিতাস রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আবদুল হাই বলেন, ‘দ্বিতীয় মেঘনা সেতু ও দ্বিতীয় তিতাস সেতুর কাজ ৪৫ শতাংশ শেষ হয়ে গেছে। আশা করি যথাসময়েই দু’টি সেতুর কাজ শেষ হবে।’
এদিকে, ডাবল লাইন ও সেতু দুটি নির্মাণ হলে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে রেল যাতায়াতে সময় কমে আসবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের আখাউড়া অঞ্চলের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এর ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগের সময় কমে আসবে। যেহেতু আমরা নতুন কোচও আনছি, তাই আশা করছি- রেলওয়ের সেবার মান বৃদ্ধি পাবে।’
অন্যদিকে, যাত্রী সেবার মান বাড়াতে এ রেলপথে আরো ইঞ্জিন ও রেলকোচ সংযোজনের কথা জানালেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুজিবুল হক। তিনি বলেন, ‘ডাবল লাইনের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে আরও বেশি ট্রেন চলাচল করতে পারবে। যাত্রীরা নিরাপদেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে পারবে।’ রেলওয়ের তথ্য মতে, মেঘনা নদীর ওপর, ৩ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮শ’ ২৬ কোটি টাকা। আর, ২শ’ ১৮ মিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতীয় তিতাস রেলসেতু নির্মাণে ব্যয় হবে ১শ’ ৯১ কোটি টাকা।