দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ৬৫৭টির মধ্যে ৬৪১টি ইউপিতে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। গতকাল শেষ দিনে বিএনপির প্রত্যয়নপত্র নিয়েছেন ৬৪১টি আসনের প্রার্থীরা। ফলে অনুষ্ঠিতব্য ৬৫৭টি ইউপি নির্বাচনের মধ্যে মাত্র ১৬টিতে প্রার্থী দিতে পারেনি দলটি।
প্রথম দফায় এ সংখ্যা ছিল ১১৪টি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরের ইউপিগুলোতে প্রার্থী দিতে পারেনি বিএনপি। তবে দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের নানামুখী হুমকির কারণে এই দু’টি জেলার ইউনিয়নগুলোতে শেষ পর্যন্ত কেউ প্রার্থী হতে রাজি হয়নি।
প্রার্থীরা অংশ নিলেও এবারও ২০ দলীয় জোটের শরিক কোন দলকে প্রত্যয়নপত্র দেয়নি নেতৃত্বে বিএনপি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩১ মার্চ ৬৭২টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কেন্দ্রে ইউপি নির্বাচনের মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত দলের সহ-প্রচার সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, দ্বিতীয় দফায় ৬৪১টিতে প্রার্থী দেয়া হয়েছে। তবে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের হুমকির কারণে গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরের অধিকাংশ ইউনিয়নে প্রার্থী দেয়া যায়নি।
২২ মার্চ প্রথম দফায় ৭৩৮ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি এর মধ্যে ৭১৮ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে। বাকী ২০ টি ইউনিয়ন পরিষদে জোটের শরীক দল গুলোকে ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি।
দ্বিতীয় ধাপের ৬৮৪টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৩১ মার্চ। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ২ মার্চ। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৫ ও ৬ মার্চ। আপিল দাখিল ৭ থেকে ৯ মার্চ। ১০ থেকে ১২ মার্চের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৩ মার্চ। চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে ১৪ মার্চ প্রতীক বরাদ্দ করবেন সংশ্লিষ্ট ইউপির রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
নির্বাচন কমিশন আগামী ২৩ এপ্রিল তৃতীয় ধাপে ৭১১টি, ৭ মে চতুর্থ ধাপে ৭২৮টি, ২৮ মে পঞ্চম ধাপে ৭১৪টি এবং সর্বশেষ ধাপে ৪ জুন ৬৬০টি ইউপিতে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।