শিশুরা ফেইসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদির পেছনে দৈনিক দুই ঘণ্টার বেশি সময় ব্যয় করলে তাদের ক্রুটি পূর্ণ মানসিক বিকাশের ঝুঁকি রয়েছে। মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়া এমনকি আত্মহত্যার প্রবণতা থাকার আশংকাও দেখা দেয়, বলছে নতুন এক গবেষণা। গবেষণার গবেষক, কানাডার ওট্টাওয়া পাবলিক হেলথ’য়ের হুগেসস সাম্পাসা-কানিঙ্গা এবং রোসামান্ড লুয়েস বলেন, “এই ফলাফল বাবা-মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই ওয়েবসাইটগুলোতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানোর উদ্যোগের পরামর্শ দেয়।”
গবেষণার জন্য ‘অনটারিও স্টুডেন্ট ড্রাগ ইউজ অ্যান্ড হেলথ সার্ভে’য়ের সপ্তম থেকে দ্বাদশ গ্রেডের শিক্ষার্থীদের তথ্য পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রায় ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থীই দৈনিক দুই ঘণ্টার বেশি সময় সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করেন বলে জানায়।
ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগোর ইন্টার্যাক্টিভ মিডিয়া ইনস্টিটিউটের ব্রেন্ডা কে. উইডারহোল্ড বলেন, “এক্ষেত্রে সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো কারও জন্য সমস্যা আবার কারও জন্য সমাধান হিসেবে দেখতে পাই।”
তিনি আরও বলেন, “যেহেতু তরুণরা এই সাইটগুলো ব্যবহার করেন, তাই তাদের কাছে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে এটি একটি কার্যকর মাধ্যম।” সাইবারসাইকোলজি, বিহেইভিয়ার অ্যান্ড সোশাল নেটওয়ার্কিং জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।