দেশে মাধ্যমিক পর্যন্ত মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছেলেদের ছাড়িয়ে গেছে। আগামী ছয়-সাত বছরের মধ্যে উচ্চশিক্ষাতেও ছেলেদের ছাড়িয়ে যাবে নারীরা। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষায় ৫১ শতাংশ ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫৩ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী রয়েছে। শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এলজিইডি ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট (সেকায়েপ) ডাইরেক্টরের চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রকল্পটি।
মন্ত্রী বলেন, মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল হিসেবে ২০১৫ সালের মধ্যে ছেলে-মেয়ে শিক্ষার্থীর মধ্যে সমতা আনার কথা ছিলো। আমরা তিন বছর আগে প্রাথমিকে তা অর্জন করেছি। যা বিশ্বে আর কেউ পারেনি। বর্তমানে প্রাথমিকে আমাদের ৯৯ শতাংশের বেশি শিশু স্কুলে যায়। ৯৬ শতাংশ রেগুলার স্কুলে আসে। তবে এটা ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আমাদের এখন মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। প্রাইমারিতে নারী শিক্ষার্থী ৫১ শতাংশ। আর মাধ্যমিকে ৫৩ শতাংশ। অর্থাৎ মাধ্যমিক পর্যন্ত নারী শিক্ষার্থীরা ছেলেদের ছাড়িয়ে গেছে। আগামী ছয়-সাত বছরের মধ্যে উচ্চশিক্ষায়ও নারী শিক্ষার্থীরা ছেলেদের ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের যে অগ্রগতি হয়েছে তা ইউরোপের কিছু দেশ ছাড়া আর কোথাও নেই। তবে মানসম্পন্ন শিক্ষা দেওয়া একটা চ্যালেঞ্জ। আমাদের শিক্ষার্থী আছে কিন্তু এদের মানসম্পন্ন শিক্ষা দিয়ে উন্নত মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এছড়া সেকায়েপ এর ডাইরেক্টর ড. মো. মাহামুদ-উল-হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের টিম লিডার অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।