[english_date]

দেশে ফিরে ‘ধাক্কাধাক্কি’র মধ্যে বাবর আজম!

স্বপ্ন ছিল ভারতের মাটি থেকে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে দেশে ফেরার। কিন্তু পাকিস্তানের সেই স্বপ্ন চুরমার হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়া দূরের কথা, বাবর আজমের দল গ্রুপপর্ব পেরিয়ে সেমিফাইনালেই উঠতে পারেনি। ফলে ভারতের মাটি থেকে ব্যর্থতার লজ্জা নিয়েই দেশে ফিরেছেন বাবর আজমরা।

 

কলকাতা থেকে দুবাই হয়ে গতকাল সকালে দেশে পা রেখেছে পাকিস্তান দল। ক্রিকেটাররা বিমান থেকে নামতেই লাহোর বিমানবন্দরে হুলস্থুল বেধে যায়। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। বাবর আজমরা যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন পুলিশি পাহারায়।

 

এতটুকু পড়ে মনে হতেই পারে, বিশ্বকাপে দল ব্যর্থতার কারণে হয়তো পাকিস্তানি সমর্থকরা ক্রিকেটারদের ওপর ক্ষোভ ঝেরেছেন। কিন্তু আসল ঘটনা তা নয়। দল ব্যর্থ হলেও পাকিস্তানি সমর্থকরা ক্রিকেটারদের ওপর চড়াও হননি।

 

অধিনায়ক বাবর আজমের ওপরও হতাশ নন পাকিস্তানি সমর্থকরা। তাহলে লাহোর বিমানবন্দরে ঐ হুলস্থুল ও ধাক্কাধাক্কির কারণ?

 

কারণ অধিনায়ক বাবর আজমকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো। হ্যাঁ, লাহোর বিমানবন্দরে সমর্থকদের জটলা-ধাক্কাধাক্কিটা বাবর আজমকে স্বাগত জানানো নিয়েই। অধিনায়ককে অভ্যর্থনা জানাতেই হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি সমর্থকরা।

 

জানা গেছে ক্রিকেটারদের দেশে ফেরা নিয়ে লাহোর বিমানবন্দরে ভিড় জমানো সমর্থকদের বেশির ভাগই ছিল বাবর আজমের ভক্ত। তাই প্রিয় তারকাকে কার আগে কে শুভেচ্ছা জানাবেন, তা নিয়েই সমর্থকরা হুলস্থুল বাধিয়ে দেন।

 

কেউ তুলেছেন ছবি, কেউ বা তুলেন সেলফি। প্রচণ্ড ভিড় এড়াতে নিরাপত্তাকর্মীদের হিমশিম খেতে হয়েছে। ধাক্কাধাক্কিটা শুভেচ্ছা জানানোর জন্য হলেও নিরাপত্তাকর্মীরা ঝুঁকি নিতে চাননি। কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আতেই ভক্ত-সমর্থকদের জটলা থেকে বাবর আজমকে ‘মুক্ত’ করেছেন নিরাপত্তাকর্মীরা।

 

দলের ব্যর্থতার পাশাপাশি ভারতের মাটির বিশ্বকাপে বাবর আজম নিজেও ব্যর্থ। বিশ্বকাপটা তিনি শুরু করেছিলেন ওয়ানডের ব্যাটিং র‌্যাংকিংয়ের ১ নম্বরে থেকে। যে জায়গাটা তিনি প্রায় তিন বছর ধরে নিজের দখলে রেখেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বাবর আজমকে ঘিরে পাকিস্তানিদের প্রত্যাশাটা ছিল তুঙ্গে।

 

কিন্তু বাবর আজম দেশবাসীর সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। ব্যাট হাতে তিনি একটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৯ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৩২০ রান। যা আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তাকে জায়গা দিয়েছে ২৩ নম্বরে! যার ফল, হারাতে হয়েছে নিজের সম্প্রত্তি বানিয়ে ফেলা র‌্যাংকিংয়ের ১ নম্বর আসনটি।

বাবর আজম ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক হিসেবে দক্ষ হাতে দল পরিচালনা করতেও। এরপরও বাবর আজমকে ঘিরে পাকিস্তানি সমর্থকদের এই উন্মাদনাই বলে দেশবাসীর কাছে কতটা প্রিয় তিনি।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ