[english_date]

দেশে ডলারের তীব্র সংকট

কিছু দিন পর পর রেকর্ড গড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সবশেষ হিসাবে যা ছাড়িয়েছে ২ হাজার ৬শ কোটি ডলার। ভার্চুয়াল ডলারের বিশাল এই ভান্ডার গড়লেও, নগদে এর সংকট তীব্র।

পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি ভিত্তিতে কাগুজে ডলার আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর এজন্য ডলার আমদানির জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। নগদ ডলার সংকটের মূল কারণ হিসেবে ব্যাংকাররা বলছেন, ব্যাংকগুলোর সমন্বয়হীন দর নির্ধারণ ও মুদ্রা পাচার।

শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসাসহ নানা কাজে বিদেশগামী মানুষের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রা বিশেষ করে ডলারের চাহিদা। কিন্তু ডলারের পরিমাণ কমে যাওয়ায় এই চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে।  বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে থাকা ডলার দিয়েও সেই চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। এ অবস্থায় জরুরিভিত্তিতে ডলার নোট আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠানো এক চিঠিতে এজন্য শুল্ক আরোপ না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের বাজারে নগদ বৈদেশিক মুদ্রার যোগান অনেক কমে গেছে। তাই বাড়ছে ডলারের দাম।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর আগেও ডলার আমদানির উদ্যোগ নিয়েছিল। বিদেশি একটি ব্যাংক আমদানি প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত করেও অতি উচ্চ শুল্কের কারণে পিছু হটে। তারপর থেকে আর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ কারণেই এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে আমদানি বন্ধ থাকার পাশাপাশি হুন্ডি বাজারে উচ্চ মূল্য, ব্যাংকগুলোর সমন্বয়হীন দর নির্ধারণ ডলার সংকট আরো ঘনীভূত করেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সূর চৌধুরী।

তার মতে ডলারের সংকট কাটাতে এবং বাজার স্থিতিশীল রাখতে এখন শুল্কমুক্ত আমদানি সুবিধার বিকল্প নেই।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ