হঠাৎ অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে চিনির বাজার। সঙ্কটের কথা বলে সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে চিনি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। দেশজুড়ে অনেক এলাকায় প্যাকেটজাত চিনি পাওয়াই যাচ্ছে না। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, চাহিদার বিপরীতে দেশে পর্যাপ্ত চিনি আমদানি করা হয়েছে। চিনির কোনও ঘাটতি নেই।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিগগিরই আরও ১ লাখ টন চিনি আমদানি করা হচ্ছে।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের তুলনায় এ বছর চিনি সরবরাহে কোনও ঘাটতি নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে ১৭ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি করা হয়েছিল। এ বছর প্রথম নয় মাসে সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে বছরে চিনির চাহিদা ১৮ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন। যার বেশির ভাগই আমদানি করতে হয়।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম বলেন, ‘দেশের বাজারে এখন চিনির দাম বেড়েছে। সঙ্কটের কারণে এ দাম বেড়েছে এমন কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এ তথ্য সঠিক নয়।’
তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে দেশে ১৭ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানি হয়েছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত সাড়ে ১৬ লাখ টন চিনি আমদানি হয়েছে। শিগগিরই আরও এক লাখ টন চিনি আমদানি হবে। তাই দেশে পর্যাপ্ত চিনি আমদানি হয়েছে। যদি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো একটু বিশেষ তদারকি করে তাহলে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।’