প্রথম ম্যাচে ১৪৫ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ৫৮ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। ৪৩.২ ওভারে ১৮৩ রানে অল আউট জিম্বাবুয়ে।
টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উই্কেটে ২৪১ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। ২৪২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ের লাইন আপে প্রথম আঘাত হানেন স্পিনার আরাফাত সানি। ১৯ বলে ১ রান করে সানির ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন রেগিস চাকাভবা। দলের রান তখন ৪.৩ ওভারে ২২। পরের ওভারেই মাশরাফির গোলায় বোল্ড হয়ে ফিরে যান ক্রমেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা আরেক ওপেনার শিভাভা। ১ চার ও ১ ছয়ে ৯ বলে ১৪ রান করে আউট হন শিভাভা।
দলের ইনিংস মেরামতে যখন ব্যস্ত ক্রেগ আরভিন এবং শন উইলিয়ামস, তখনই বল হাতে আবারো জ্বলে উঠলেন কাটার স্পেশালিস্ট মুস্তাফিজুর রহমান। দলের রান যখন ৯ ওভার শেষে ৪৫ তখন ১৭ বলে ১৪ রান করে নাসির হোসেনের হাতে ধরা পড়েন শন উইলিয়ামস। দলীয় ৭৮ রানের মাথায় রান আউটের শিকার হয়ে ক্রেগ আরভিন ফিরে গেলে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা ও সিকান্দার রাজা। ৫ম উইকেট জুটিতে বেশ ভালভাবে প্রতি আক্রমণ শুরু করে তারা। আল আমিনের বলে ইমরুল কায়েসের হাতে ধরা পড়ে সিকান্দার রাজার বিদায়ে ম্যাচে আধিপত্য স্থাপন করে টাইগাররা। একটু পরেই আবারো আল আমিনের আঘাত। চিগুম্বুরাও বন্দী হন ইমরুলের হাতে। নাসির হোসেনের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান শেষ ভরসা ওয়েলার। দলের রান ৪ উইকেটে ১৫১ থেকে হয়ে যায় ১৭৫/৭।
এরপর বল হাতে আবারো আগুন ঝরাতে শুরু করেন কাটার স্পেশালিস্ট। এক ওভারে লুক জঙ্গে ও তিনাশে পানিয়াঙ্গারাকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়ে দলকে জয়ের কিনারে পৌঁছে দেন মুস্তাফিজুর। বাকি আনুষ্ঠানিকতা টুকু সারতে সময় নেননি নাসির হোসেন। গ্রায়েম ক্রামারকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেন নাসির হোসেন। ৪৩.২ ওভারে ১৮৩ রানে গুটিয়ে গিয়ে ৫৮ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে অতিথিরা।
বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার পর এবার জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে টানা চতুর্থ ওয়ানেডে সিরিজন জয় নিশ্চিত করলো মাশরাফি নেতৃত্বাধীন টাইগাররা।