[english_date]

দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী যুবদল

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৫১ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর দারুস সালাম থানার দুই মামলায় পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিলের প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী যুবদল। বৃহস্পতিবার দুপুরে যুবদলের দপ্তর সম্পাদক কাজী রফিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে অভিযোগপত্র দাখিলের প্রতিবাদে  আগামীকাল সারা দেশের জেলা, উপজেলা ও মহানগরে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।

উল্লেখ্য ঢাকার সিএমএম আদালতে গতকাল বুধবার দারুস সালাম থানায় দায়ের করা দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৫১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। গতকাল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহিনূর রহমান ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাধা, ড্রাইভারকে হত্যা প্রচেষ্টা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলায় বেগম খালেদা জিয়াসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

অন্য দিকে দারুস সালাম থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বেগম খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রাজ্জাক সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
দুই মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন,  বিএনপি নেতা আমানুল্লাহ আমান, মারুফ কামাল খান, মীর সরাফাত আলী সফু, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও সৈয়দা আশরাফি আশিফা পাপিয়াসহ ২৭ জন। মামলা দু’টির মধ্যে দারুস সালাম থানার ৪(৩)১৫ দণ্ডবিধির মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২৭ জন আসামি এবং ৮ (২)১৫ বিশেষমতা আইনের মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

 দারুস সালাম গাবতলী বাস টার্মিনাল পূর্ব দক্ষিণ কোণে বাইপাস রাস্তায় ২০১৫ সালের ৩ মার্চ যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা মেরে গাড়িতে আগুন দেয়া ও উপস্থিত পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও ভাঙচুর করার অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় এসআই শাহআলম বাদি হয়ে দারুস সালাম থানায় মামলা করেন।

অন্য দিকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বলা হয়েছে, গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে শাহআলী বাজারের পাশে বালুর মাঠে পূর্ব দক্ষিণ কোণে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় এসআই মনির হোসেন বাদি হয়ে দারুস সালাম থানায় মামলা করেন।

ড্যান্ডি ডায়িং মামলার সাক্ষ্য ১৯ জুন

এ দিকে ড্যান্ডি ডায়িংয়ের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ আগামী ১৯ জুন। গতকাল বিবাদি পক্ষে সাক্ষ্য গ্রহণ মুলতবি রেখে সময় চেয়ে আবেদন করেন। ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইসমত জাহান শুনানি শেষে তারিখ ধার্য করেন।

মামলায় গত ২ ফেব্রুয়ারি ইস্যু গঠন করা হয়। গত ৩ এপ্রিল বাদির আংশিক সাী গ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারিত দিন মামলার বাদি আদালতে উপস্থিত হন। কিন্তু খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ইস্যু গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেছেন বলে আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য সময় আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করে নতুন এ দিন ধার্য করেন।

গত বছরের ১৪ জুলাই বেগম খালেদা জিয়ার পে সমনের জবাব দাখিল করেন আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ। গত বছরের ১৪ জুলাই এ মামলায় বেগম খালেদা জিয়া তার বিরুদ্ধেমামলাটি চলে না মর্মে ওই জবাবে বলা হয়, সোনালী ব্যাংক থেকে কোম্পানি ১৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ঋণ নেয়। পরে ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা পরিশোধ করে। অথচ সোনালী ব্যাংক নিয়মবহির্ভূত ও বেআইনিভাবে ৪৫ কোটি টাকা ঋণখেলাপির মামলাটি করেছে, যা অর্থঋণ আইনে বৈধ নয়। এ দিকে আরাফাত রহমান কোকো নামমাত্র কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। তিনি লেনদেনের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। তাই মামলাটি খারিজের আবেদন করেন খালেদা জিয়া। খালেদার পে হলফনামা দেন মাহবুব আল আমিন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ