দুর্গাপূজায় তিন দিনের সরকারি ছুটি, জাতীয় সংসদে হিন্দুদের জন্য ৬০টি সংরক্ষিত আসন, পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক পৃথক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। সেই সঙ্গে আসন্ন দুর্গাপূজায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের জমি দখল, নির্যাতন, মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। মহাজোটের নেতারা বলেন, ‘সংবিধানে সকল ধর্মের মানুষের জন্য সমান অধিকার ও সুযোগ-সুবিধার বিধান থাকলেও হিন্দু সম্প্রদায় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দুর্গাপূজায় হিন্দু পরিবারের সবাই একত্রিত হওয়ার জন্য উন্মুখ থাকে। কিন্তু পূজার শেষ দিবসে মাত্র একদিন সরকারি ছুটি থাকায় হিন্দু সম্প্রদায় পরিবার-পরিজন নিয়ে ধর্মীয় উত্সব পালন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সারাদেশে যে হারে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ চলছে, তাতে হিন্দু সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন না হয়ে পারে না। এ দেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ব্রিটিশ সংসদে, আমেরিকার কংগ্রেসে শুনানি এবং প্রস্তাব পাশ হয়েছে। কিন্তু হিন্দুরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ও বাড়ি-ঘর-মন্দির হারিয়ে যাদেরকেই ভোট দিয়ে সংসদে পাঠায়, তারাও নির্যাতনের বিষয়ে কথা বলেনি। সরকার ও বিরোধী দল হিন্দু সম্প্রদায়ের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখেনি। এ অবস্থার প্রতিকারে সংসদে হিন্দুদের জন্য ৬০টি সংরক্ষিত আসন এবং পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব এডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ড. অচিন্ত কুমার মণ্ডল, ড. সোনালী দাস, মানিক চন্দ্র সরকার, ডা. এম কে রায়, পলাশ কান্তি দে, অধ্যাপক আনন্দ বিশ্বাস, সুমন কুমার রায়, প্রদীপ কান্তি দে, রাজেশ সাহা, নিহার প্রামাণিক।