[english_date]

বিয়ের দাবিতে ১২ দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বহড়াবাড়ি গ্রামে বিয়ের দাবিতে ১২ দিন ধরে মনির হোসেন (২০) নামে এক প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন নবম শ্রেণীর  ছাত্রী। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মেয়ের অভিভাবকেরা বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করলেও প্রেমিক মনিরের পরিবার কোনো সাড়া না দিয়ে তারা অন্যত্র পালিয়েছে।
মনির ওই গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে এবং গাজীপুরের একটি পোশাক তৈরি কারখানায় কাজ করেন। আর পার্শ্ববর্তী তালুকনগর গ্রামের ওই মেয়েটি স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল বিভাগের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
রোববার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মনিরের পরিবারের কেউ বাড়িতে নেই। ওই স্কুলছাত্রী মনিরের বাড়ির ঘরের বারান্দায় অবস্থান করছেন।
স্কুলছাত্রী জানান, বিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে ওই ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে চার বছর আগে মনিরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়। বছর খানেক আগে বিয়ের আশ্বাসে মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েন মনির। এক বছর আগে মনির এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে গাজীপুরের একটি পোশাক তৈরি কারখানায় কাজ নেন। মোবাইল ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে ছুটিতে এসে মেয়েটির বাড়িতে গিয়েও শারীরিক মেলামেশা করতেন মনির। তিন মাস আগে মেয়েটিকে নিয়ে গাজীপুরের একটি পোশাক তৈরি কারখানায় হেলপার পদে কাজ দেন মনির। বিয়ে না করে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সেখানে বাসা নেন তারা। সেখানে থাকার পর ৩০ সেপ্টেম্বর মনিরের কথামতো বিয়ের দাবিতে বাড়িতে এসে উঠেন ওই স্কুলছাত্রী। এ পর্যন্ত মনির সঙ্গে তার দেখা ও কথা হয়নি। বরং বাড়ির লোকজনও সটকে পড়েছে। প্রতিবেশীরা পরনের কাপড় ও খাবার দিচ্ছেন। মনিরের সঙ্গে বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত ওই বাড়িতেই অবস্থান করবেন তিনি। অন্যথায় আত্মহত্যা ছাড়া অন্য কোন পথ নেই বলেও জানান ওই স্কুলছাত্রী।
প্রতিবেশী আনোয়ার হক জানান, বিয়ের দাবিতে মেয়েটি বাড়িতে এসে উঠেছে। তা দেখে মনিরের বাড়ির লোকজন পালিয়েছে। স্থানীয় কলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড মেম্বার নুরুল ইসলাম জানান, উভয় পরিবারের লোকজন নিয়ে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করলেও মনিরের পরিবারের কোন সাড়া মেলেনি। তারা মেয়েটিকে বাড়ি রেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) হারুণ-অর রশিদ জানান, মনিরের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ