৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

‘দায়িত্বশীল’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি মিলেছে-জঙ্গি দমন বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী দাবি করেছেন -সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি ‘দায়িত্বশীল’ ‍রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সরকার সকল ধরনের সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আসছে। বাংলাদেশের ভূখণ্ড যাতে কেউ সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদ সম্পর্কিত কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে না পারে সে ব্যাপারে সরকার বদ্ধ পরিকর।“এ কারণে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।”সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মধ্য দিয়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় শুধু বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে কোনো শুভ উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত থেকে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকার যথেষ্ট সচেষ্ট থাকবে।”আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের অব্যাহত বিভ্রান্তিকর প্রচারণায় প্রভাবিত হয়ে কতিপয় আন্তর্জাতিক সংগঠন নানা সময়ে পক্ষপাতদুষ্ট ও একপাক্ষিক বিবৃতি দিয়েছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের বক্তব্য-বিবৃতি নিয়ে মাহমুদ আলী বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অMontriভিযুক্ত ব্যক্তিদের রায় কার্যকর করার বিষয়ে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। এ কারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবরই এ বিষয়ে সকল ধরনের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া বা অপপ্রচারের সমুচিত জবাব দিয়ে আসছে।

“বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত বিবৃতি বা মন্তব্য কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে আমরা তাদের শক্তভাবে জানিয়ে দিয়েছি। ভবিষ্যতে তারা যাতে এ ধরনের অযাচিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে এবং এ বিষয়ে দায়িত্বশীল আচরণ প্রদর্শন করার বিষয়টি আমরা তাদের মনে করিয়ে দিয়েছি।”যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছে দিতে কাজ চলছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।“যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষে বিশ্বব্যাপী প্রচারণার ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহের মাধ্যমে বিদেশি রাষ্ট্রের সরকার, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাসমূহ, সুশীল সমাজ এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসমুহের সাথে যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত বিচারের পক্ষে ইতিবাচক জনমত গড়ার লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপভিত্তিক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশের কাজও চালিয়ে যাচ্ছি।”

ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রমের গ্রহণযোগ্যতা তিনি বলেন, “আমরা মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে অবিচল কাজ করে যাব।”

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ