[english_date]

তিন কিশোরীকে উদ্ধার করল বান্দরবান পুলিশ

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি:

নিশ্চিত বিপদে পড়া ও স্থানীয় ২জন বখাটের হাত থেকে তিন কিশোরীকে উদ্ধার করে তনু’র পরিনতি ঠেকালো বান্দরবান পুলিশ। উদ্ধারকৃকরা হল, লিনা( ১৩), আরতী(১৩) এবং মিশু(১৩) (সবার ছদ্দনাম)। এরা তিনজনই বান্ধবী এবং ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।

উদ্ধারকৃতরা জানায়, তাদের মায়েরা সবাই কর্মজীবি। বাবা মায়ের অনুপস্থিতিতে গত ১৬ মে বাসা থেকে টাকা নিয়ে ১জন ৬০ হাজার, আর দু’জন ২ হাজার করে মোট ৬৪ হাজার টাকা নিয়ে কক্সবাজার চলে আসে। সেখানে গিয়ে হোটেলে উঠে, তারপর পর্যটক হিসেবে সমূদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন স্থানে ঘূরতে থাকে। কক্সবাজার শেষে তারা বান্দরবান ঘুরতে আসে। এদিকে কেবল শৈশব পার করা মেয়েদের না পেয়ে তাদের বাবা মা ঐদিনই সিএমপি’র ইপিজেড থানায় জিডি করেন। জিডি নং- ৮১৬, তারিখ: ১৬/০৫/২০১৬ইং। অত:পর পুলিশও তাদেরকে খুঁজতে থাকে। অবশেষে ১৮মে বুধবার বান্দরবানের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিশেষ তত্ত্বাবধানে কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে বান্দরবানের দু’জন স্থানীয় বখাটের কবল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে বান্দরবান পুলিশ।

এদিকে পাগলের মতো সন্তানদের খুঁজতে থাকা বাবাদের হাতে বুধবার দুপুরে তাদের সন্তানদের তুলে দেয় বান্দরবান জেলা পুলিশ। আর একটু দেরী হলেই হয়ত তণু’র মতো ভাগ্য বরণ করতে হতো এই তিন কিশোরীর।
তিন কিশোরী উদ্ধারের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, দেশের সকল নাগরিককে তাদের শিশু/কিশোর সন্তানদেরকে সবসময় আদর, শাসন ও পর্যবেক্ষণ করা উচিত। পরিবারের অসচেতনতার কারণে এই ধরনের বিপদে পড়ে অবুঝ শিশুরা। উদ্ধারকৃত তিনজনকে তাদের পিতার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২০শে মার্চ মিয়ানমারের নাইসা ডং বৌদ্ধ বিহার থেকে পাচার হওয়া ১১ মারমা কিশোরীকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয় বান্দরবান জেলা পুলিশ।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ