তাখত-ই-ভাই বৌদ্ধ বিহার একটি প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে। খ্রীষ্টাব্দের প্রথম শতকে নির্মিত পাকিস্তানের গন্ধরা জেলার তাখত-ই-ভাই বৌদ্ধ বিহার দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় মানুষ এবং পর্যটকদের কাছে প্রধান দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত।
এত সুন্দর কাঠামো আর নিদর্শণ খুব কম ধ্বংসাবশেষেই খুঁজে পাওয়া যায়। সুন্দর অবকাঠামোর জন্য পৃথিবীর ঐতিহাসিক স্থান গুলোর তালিকায় এই বৌদ্ধ বিহারটিও রয়েছে। মারদান জেলার খাইবার পাখটুনখোয়ার তাখত ভাই বাজার থেকে দুই কিলোমিটার পূর্বে একটি ছোট পাহাড়ের প্রায় ৫শ ফুট ওপরে এই বিহারটির অবস্থান।বহু বছর ধরেই বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের পর্যটক, ঐতিহাসিক, প্রত্নতাত্ত্বিক এবং বৌদ্ধদেরকে আকর্ষণ করে আসছে এই বিহারটি। এর অনন্য নকশার জন্য প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে বিহারটি একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাহাড়ের ওপরে ওই বিহারটির পাশে দুটি কূপের সন্ধান পাওয়ার পর বিহার এবং গ্রামের নামকরণ করা হয় তাখত-ই-ভাই।
অনেকের ধারণা তাখত্ এবং ভাই শব্দ দুটি ফারসী শব্দ। তাখত্ মানে হচ্ছে সিংহাসন এবং ভাই মানে পানি। পাকিস্তানে নিয়োজিত ইতালিয়ান প্রত্নতত্ত্ব মিশনের ব্যবস্থাপক ড. লুকা মারিয়া অলিভিয়েরি, গন্দোফেয়ারস নামের ২০-৪৬ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত শিলালিপিটি পাওয়ার পর বিহারটির গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তারা জানান, গন্দোফেয়ারস পার্থিয়ার রাজা ছিলেন।