দুধের দাম বাড়ানো-কমানোর কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা নেই। বেসরকারি কোম্পানিগুলো নিজেদের ইচ্ছামতো দুধের দাম বাড়ায়। কাউকে না জানিয়ে এরই মধ্যে লিটারে ১০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। নানা খাতে খরচ বাড়ার অজুহাত দাঁড় করিয়েছে ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, খামারিদের লিটারে প্রায় ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তবে খামারিরা বলছেন, বেড়েছে সর্বোচ্চ ২ টাকা।
প্রাণ, আড়ং, আকিজ লিটারে ১০ টাকা বাড়িয়েছে। দু সপ্তাহ আগেও এক লিটার তরল দুধের দাম ছিল ৯০ টাকা। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটার দুধের দাম বাড়েনি। কিন্তু সরবরাহ কম।
একজন ক্রেতা বলেন, ‘আগে আমরা ৩৫ টাকা করে কিনতাম, এখন ৪৫ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের আয় বাড়েনি, আগের জায়গায় রয়ে গেছে। বরং আয় আরও কমে গেছে।’
স্থানীয় এক বিক্রেতা বলেন, ‘অনেকেই আগে যারা এক কেজি কিনতো, এখন তারা আধা কেজি কিনছে। যারা আধা কেজি কিনতো, তারা আড়াই শ গ্রাম কিনছে। অনেকে কেনা বন্ধই করে দিয়েছে।
দাম বাড়ার জন্য বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, প্যাকেজিংসহ সব খরচ আগের চেয়ে বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দুধের দামে।
প্রাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা বলেন, ‘আমরা কিন্তু তরল দুধের খামারি পর্যায়ের দাম বাড়িয়েছি। যেহেতু তাদের খরচটা পোষানো ও দুধের উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য দাম বাড়ানো হয়েছে, এর ফলে ভোক্তা পর্যায়ের প্যাকেজিংয়ে দুধের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছি।’
খামারিরা বলছে, কোম্পানিগুলো লিটারে ১০ টাকা বাড়ালেও প্রান্তিক খামারিদের দেওয়া হচ্ছে সামান্যই। দুধ উৎপাদনকারী নয়, করপোরেট প্রতিষ্ঠানই বাড়তি মুনাফা করছে।
ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন, ‘৬ মাস আগে ডলারের মূল্য যা আছে এখনও তাই আছে। প্রসেসিং খরচের জন্য ১ টাকা বাড়িয়ে তারা কেন ১০ টাকা বাড়াচ্ছে, এটা আমার কাছে বোধগম্য নয়।’
বাজার স্বাভাবিক রাখতে মাংসের মতো তরল দুধের দামও নির্ধারণের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।