ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত নৌপথ পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়। আগামী বছরের মার্চ থেকে এই পথটিকে আরও সক্রিয় করতে ৪০ কিলোমিটার নদীপথ খনন করা হবে।
ছয়টি স্থানে নৌযান রাখার স্থান বা ভ্যাসেল শেলটার স্থাপন করা হবে। ১৪টি লঞ্চ টার্মিনালের উন্নয়নকাজ করা হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডাব্লিউএম)-এর পক্ষ থেকে যৌথভাবে আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। কর্মশালাটি আয়োজিত হয় রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে।
ওই নৌ পথে পুনরুজ্জীবিত করতে গেলে পরিবেশ ও সমাজের ওপর যে প্রভাব পড়বে তা নিয়ে এক সমীক্ষা করা হয়। সেই সমীক্ষার অংশ হিসেবে আজকের এ কর্মশালা ছিল।
কর্মশালায় জানানো হয়, বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় সমীক্ষার কাজটি করেছে আইডব্লিইউএম। ২০১৬ সালের মার্চ থেকে প্রকল্পের মূল অবকাঠামোর কাজ শুরু হবে। এ খাতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ কোটি মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫৬৫ কোটি ২ লাখ ২৩৫০০ টাকা। শুরুতে ওই নৌ-করিডোর দিয়ে জাহাজের কন্টেইনার ও পরবর্তীতে যাত্রী পরিবহন করা হবে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নৌচলাচলের ৮০ শতাংশ চলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে। প্রতিদিন ওই পথে কমপক্ষে দুই লাখ লোক যাতায়াত করে। এই পথটি অভ্যন্তরীণ রুট এবং বাংলাদেশ ও ভারতের নৌপ্রটোকলের পণ্য পরিবহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নৌ-পরিবহন সচিব শফিক আলম মেহেদি ঢাকা-চট্টগ্রাম নৌপথকে আরও সক্রিয় করতে সরকার এই পরিকল্পনা নিয়েছে উল্লেখ করে বলেন, এতে দেশের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে। পণ্য পরিবহনের খরচ কমে আসবে।
আইডাব্লিউএম-এর নির্বাহী পরিচালক এম মনোয়ার হোসেন ঢাকা-চট্টগ্রাম অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করিডোর প্রকল্পের কর্মশালায় পরিবেশ ও সামাজিক প্রভাবের ওপর তার উপস্থাপনা তুলে ধরেন। সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম নৌ-রুটে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে তিনি জানান।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইডব্লিউটিএর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান। প্রকল্প পরিচালক এবং বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (পরিকল্পনা) মাহমুদ হাসান সেলিম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।