[english_date]

ডুমুরিয়ায় ঝিমিয়ে পড়েছে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম

 

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি:
দীর্ঘদিন সভা সমাবেশ না থাকায় ডুমুরিয়ায় ঝিমিয়ে পড়েছে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির কার্যক্রম। আজ শনিবার দেশব্যাপি কমিউনিটি পুলিশিং-ডে উদযাপন উপলক্ষে ডুমুরিয়া উপজেলা পুলিশিং কমিটির আয়োজনে র‌্যালি, সভা-সমাবেশ সহ ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ৪০ হাজার ৯০৮টি কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি এবং এর সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৬ জন সদস্য। ডুমুরিয়া এক সময় লাল ডুমুরিয়া নামে খ্যাত ও সন্ত্রাসীদের অভয়ারন্য থাকায় ২০০৩ সালে সন্ত্রাস দমন ও অপরাধ কর্মকান্ডের প্রতিরোধে সরকারের তৎকালিন খুলনা রেঞ্জ ডিঅইজি আব্দুল আজিজ সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ডুমুরিয়া উপজেলায় একটি শক্তিশালী কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি গঠন করেন। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এ পুলিশিং কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি করা হয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সর্বদলীয় জনগন। গ্রামে গ্রামে সেন্টিঘর তৈরী করে রাত জেগে পাহারা দিতো এ কমিটি সহ স্থানীয় লোকজন। এদের কাছে থাকতো বাঁশের লাঠি ও বাঁশি। সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় তারা সর্বদা থাকতো সোচ্চার। তাছাড়া এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ, মারামারি, চুরি সহ ছোটখাটো কোন ঘটনা ঘটলে পুলিশিং কমিটির নেতারাই তা সালিশ বিচার করে সমাধান করতেন। প্রতি মাসেই সকল ইউনিয়ন পুলিশিং কমিটির সমন্বয়ে থানা চত্বরে অনুষ্ঠিত হত ওপেন হাউজ-ডে। কিন্তু বর্তমানে উপজেলার কোথাও এ কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায় না। যে কারনে প্রতিনিয়ত এলাকায় মারামারি, চুরি সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড ঘটেই চলেছে। আর এ কারনেই একটি মুরগি চুরি হলেই সাধারন মানুষ শরনাপন্ন হচ্ছে থানা পুলিশের কাছে। এতে হয়রানী হচ্ছে স্থানীয় জনগন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক একাধিক পুলিশিং কমিটির নেতারা বলেন, এক সময় গ্রামে কোন সমস্যা দেখা দিলে গ্রাম্য পুলিশিং কমিটির সভায় তা সমাধান করা হত। এখন টুকিটাকি সমস্যা হলেই সরাসরি থানা পুলিশে চলে আসে। ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিল হোসেন বলেন, ডুমুরিয়া সদর সহ প্রত্যেক ইউনিয়নে পুলিশিং কমিটি রয়েছে এবং তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ