১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ট্রাস্ট ব্যাংক চারশত কোটি টাকার বন্ড ছাড়তে যাচ্ছে।

টায়ার টু মূলধন বাড়াতে ৪০০ কোটি টাকার সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড।  ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ এরই মধ্যে এ পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনক্রমে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে।

পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে ট্রাস্ট ব্যাংক। সেখানে দেখা যায়, হিসাব বছরের প্রথম তিন (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) প্রান্তিকে এর মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা।

অবশ্য তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস এক বছর আগের তুলনায় কমেছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ৯১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১৮ পয়সা।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গত প্রায় ছয় মাস দরবৃদ্ধির পর ডিএসইতে এখন ট্রাস্ট ব্যাংক শেয়ারের দর সংশোধন হচ্ছে।  মে মাসে ডিএসইতে এ শেয়ারের দর ১২ টাকা। ছয় মাসের ব্যবধানে তা ২৫ টাকায় উন্নীত হয়। তবে গত সপ্তাহে এর দর কিছুটা কমতে শুরু করে। গতকাল ডিএসইতে সর্বশেষ ২২ টাকা ৯০ পয়সায় এ শেয়ারের লেনদেন হয়।

দীর্ঘমেয়াদে ট্রাস্ট ব্যাংকের ঋণমান ‘ডাবল এ২’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-২’। সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ মূল্যায়ন করে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ (সিআরএবি)।

২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের  ৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয় এ কোম্পানি। সমাপ্ত হিসাব বছরে এর ইপিএস হয় ৩ টাকা ৫ পয়সা, শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১৯ টাকা ৮৫ পয়সা ও কর-পরবর্তী মুনাফা ১২৯ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

২০০৭ সালে তালিকাভুক্ত ট্রাস্ট ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৪৬৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। রিজার্ভ ৩৬৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার ৪৬ কোটি ৮৮ লাখ ২৬ হাজার ৭৮২টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালক ৬০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ২১ দশমিক ৫, বিদেশী বিনিয়োগকারী দশমিক ১৯ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে বাকি ১৮ দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৭ দশমিক ৫১, দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে যা ৫ দশমিক ৬৫।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ