
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নেতারা ইসরায়েলকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসতে নতুন মার্কিন প্রশাসনের চাপ অব্যাহত রাখার ক্ষমতা সম্পর্কে সতর্ক অবস্থানে থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার দল ক্ষমতায় আসার প্রথম কয়েক সপ্তাহে গাজা খালি ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বাইবেলীয় অধিকার সম্পর্কে ব্যাপকভাবে সমালোচিত দাবি করেছেন।
আলজাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দোহাভিত্তিক হামাস নেতা বাসেম নাইম বলেছেন, হামাস ও ফিলিস্তিনি জনগণের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারবে এমন যে কারও সঙ্গে তারা বসতে আগ্রহী। তাদের লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনের রাষ্ট্র অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং ১৯৪৮ সালের নাকবা ও পরবর্তী যুদ্ধগুলোর সময় যারা বাড়িঘর থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন বা বিতাড়িত হয়েছিলেন তাদের ফিরে আসার অধিকার। ১৯৪৮ সালে ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের বেশিরভাগ অঞ্চল দখল করে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়।
নাইম বলেছেন, তাদের তালিকায় ট্রাম্প প্রশাসনও অন্তর্ভুক্ত। যদি ট্রাম্প প্রশাসনসহ যে কোনো পক্ষের সাথে দেখা করার কোনো সুযোগ থাকে, যাতে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করতে পারি যে কীভাবে আমরা এমন লক্ষ্য অর্জন করতে পারি, আমি মনে করি দলের মধ্য থেকে কোনো ভেটো আসবে না এবং কোনো আপত্তিও থাকবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনীতিতে এটি কারও পছন্দ বা অপছন্দের বিষয় নয়। এটি সব পক্ষের স্বার্থের বিষয়।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মূসা আবু মারজুক একই ধরনের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, হামাস আমেরিকার সাথে সংলাপের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এ সময় ট্রাম্পকে একজন গুরুতর প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রশংসাও করেছেন তিনি। এমনকি তাকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শেষ করার কৃতিত্ব দিয়েছেন এই হামাস নেতা।