দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ১৩২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান তোলে জিম্বাবুয়ে।
মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মাশরাফি আর আল আমিনের বোলিং তোপের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার। ১০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড় সফরকারীরা। প্রথম ওভারের ৫ম বলে সিকান্দার রাজাকে ফিরিয়ে বিপর্যয়ের সূত্রপাত করে মাশরাফি। এরপরের ওভারেই চাকাবভাকে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেটের পিছনে শিকারে পরিণত করেন আল আমিন।
তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলেই আবারো মাশরাফির আঘাত। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক চিগুম্বুরাকে প্রথম বলেই বোল্ড করে জিম্বাবুয়েকে বড় ধাক্কা দেন মাশরাফি।
এরপর দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করতে থাকেন আরভিন ও উইলিয়ামস। তবে দলীয় ৩৮ রানের মাথায় উইলিয়ামসকে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। এরপরই দৃশ্যপটে হাজির হন ওয়েলার। তার দানবীয় ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে সফরকারীরা। ৮.৪ ওভারে ৩৮ রান থেকে জিম্বাবুয়ের রান হয়ে দাঁড়ায় ১৪ ওভারে ১০৫ রান। এর মধ্যে ওয়েলারের সংগ্রহ ২৫ বলে ৫৮ রান।
তাদের ৬৭ রানের জুটি ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আরভিনকে বোল্ড করে ৫ম উইকেটের পতন ঘটান রিয়াদ। পরের ওভারেই লুক জঙ্গে ও মাদজিভাকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়েকে আবারো ব্যাকফুটে ঠেলে দেন জুবায়ের হোসেন। ওয়েলার কিছুটা চেষ্টা করতে থাকলেও দলীয় ১২২ রানের মাথায় দানবীয় ইনিংসে দাঁড়ি টানেন কাটার স্পেশালিস্ট মুস্তাফিজুর রহমান। লিটন দাসের হাতে ধরা পড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ৬৮ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস। ৪টি চার ও ৬টি ছয়ে সাঁজানো ছিল তার ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ১৩১ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীদের ইনিংস। বল হাতে দুটি করে উইকেট নেন চার টাইগার বোলার মাশরাফি, আল আমিন, মুস্তাফিজ ও জুবায়ের।
জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ১৩২ রান। ওয়ানডে সিরিজের জয়ের ধারা টি-টোয়েন্টিতেও অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় মুশফিকদের।