মিরপুর ২ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৪ উইকেটে হারালো বাংলাদেশ ।
মাত্র ১৩২ রানের টার্গেট। এই রান করতেই রীতিমত ঘাম ঝরাতে হলো টাইগারদের। একের পর এক উইকেট হারিয়েও শেষমেশ চার উইকেটের জয় তুলে নিলো বাংলাদেশ। এর ফলে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেলো টাইগাররা। রবিবার সিরিজের শেষ ম্যাচ।
প্রথম ওভারে রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন এনামুল হক বিজয় (১)। আর ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে আরভিনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন সাব্বির রহমান (১৮)।
সাব্বিরের পর মুশফিক সাজঘরে ফিরেছেন ব্যক্তিগত ২ রানে। এরপর নাসির এসে একটু মেরে খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। ১২ বলে ১৬ রান করে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। একই ওভারে তামিম ইকবালও এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েছেন। তামিম করেছেন ৩১ রান।
তামিম আউট হওয়ার পর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও লিটন দাস দলকে টেনে নিয়ে যান। কিন্তু বাংলাদেশের জয়ের জন্য যখন ১৪ রানের প্রয়োজন তখন গ্রায়েম ক্রেমারের হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস (১৭)।
এর আগে, টাইগারদের হয়ে বোলিংয়ের সূচনা করে প্রথম ওভারেই সাফল্য পেয়েছেন মাশরাফি। ইনিংসের পঞ্চম বলে সিকান্দার রাজাকে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক।
এরপর, দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে কাপ্তানের দেখানো পথেই হাঁটেন পেসার আল আমিন। তৃতীয় বলেই আরেক ওপনার চাকাব্বাকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে দর্শকদের উল্লাসে মাতান।
প্রথম ২ ওভারের ধারাবাহিকতায় তৃতীয় ওভারেও উইকেট হারায় সফরকারীরা। এবার টাইগার অধিনায়ক সরাসরি বোল্ড করেন চিগুম্বুরাকে। শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে টালমাটাল সফরকারীরা।
এরপর, উইলিয়ামস ও আরভিন কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও তা বেশিক্ষণ টেকেনি। নবম ওভারে এ জুটির ভাঙন ধরান নাসির হোসেন। উইলিয়ামসকে ব্যক্তিগত ১৫ রানে বোল্ড করেন তিনি। নবম ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৩৯ রান।
মূলত ওয়ালারের ৩১ বলের ৬৮ রানের ঝড়ো ইনিংসের কল্যাণেই এমন সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে।