পণ্য আমদানি বৃদ্ধি ও টানা বৃষ্টিতে অপারেশনাল কাজ বিঘ্নিত হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার ও জাহাজ জট দেখা দিয়েছে। এতে বহিনোঙরে থেকে জেটিতে জাহাজ ভিড়তে অতিরিক্ত সময় লাগায় ডেমারেজ দিতে হচ্ছে শিপিং এজেন্টদের। অন্যদিকে ভারী বর্ষণের কারণে গত চার দিন চট্টগ্রাম বন্দরের বহিনোঙরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছে সংশ্লিষ্টরা। বন্দর কর্তৃপক্ষ এ সমস্যাকে সাময়িক দাবি করলেও বার্থিং ফ্যাসিলিটি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবহারকারীরা।
সাধারণত চট্টগ্রাম বন্দরের বহিনোঙরে গড়ে ৩০টি জাহাজ জেটিতে প্রবেশ ও পণ্য খালাসের জন্য অবস্থান করলেও রমজান এবং বাজেটকে কেন্দ্র করে আমদানি বাড়ায় বর্তমানে তা ৪৫ এ দাঁড়িয়েছে।
এ অবস্থায় জেটি খালি না থাকায় অধিকাংশ জাহাজকে বহিনোঙরে ২/৩ তিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এছাড়া বৈরি আবহাওয়ায় টানা চার দিন বহিনোঙরে বাল্ক কার্গো জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ থাকা এবং জেটিতেও পণ্য খালাস বিঘ্নিত হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক আনোয়ার শওকত আফছার বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করছে। সুতরাং এভাবে যদি আরও কিছুদিন চলতে থাকে তাহলে দেখা যাবে ব্যবসায়ীদের প্রচুর ভর্তুকি দিতে হবে।
এদিকে জট কাটাতে বন্দর কর্তৃপক্ষ আপাতত আইসিডি থেকে খালি কনটেইনার জাহাজীকরণ স্থগিত রাখায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শিপিং এজেন্টরা। শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের পরিচালক ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘বন্দরে যদি এমন জট চলতে থাকে এবং এমন ভারী বর্ষণ চলতে থাকে তাহলে জটের সম্ভাবনা আরও বাড়বে।’ তবে চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল ম্যানেজার এনামুল করিম এ সমস্যাকে সাময়িক দাবি করে বলেন, আবহাওয়া ভালো হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো জাহাজ আগের তুলনায় হয়তো একটু বেশি থাকছে। তবে এ সমস্যা সাময়িক। আমরা মনে করি বৃষ্টি কমে গেলে এই অবস্থা থাকবে না।’ বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের বহিনোঙরে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় থাকা ৪৫টি জাহাজে গম, লবণ, ভোজ্যতেল, সার, সিমেন্ট ক্লিংকারসহ শিল্পের কাঁচামাল রয়েছে।’